
National Citizen Party-Bangladesh Jamaat-e-Islami Ally: বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনে (2026 Bangladesh elections) জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। কিন্তু এই জোট নিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনকারী (July Revolution) পড়ুয়াদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে গিয়েছে। রবিবার এই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবিন। তাঁকে আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে জোট মানতে না পেরে সরে গেলেন তাজনূভা। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে লিখেছেন, 'আপনারা অনেকে ভাবছেন, হয়তো জামায়াতের সঙ্গে জোটে ঐতিহাসিক কারণ বা নারী বিষয়ের কারণে আমার আপত্তি। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর যে কারণ, সেটা হল যে প্রক্রিয়ায় এটা হয়েছে। এটাকে রাজনৈতিক কৌশল, নির্বাচনী জোট ইত্যাদি লেভেল দেওয়া হচ্ছে। আমি বলব এটা পরিকল্পিত। এটাকে সাজিয়ে এ পর্যন্ত আনা হয়েছে। এটা আদর্শের চেয়েও অনেক বড়, সেটা হল বিশ্বাস।'
শুধু তাজনূভাই নন, জামায়াতের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতায় জাতীয় নাগরিক পার্টির অনেক নেতা-নেত্রীই অসন্তুষ্ট। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। জামায়াতের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত হওয়ার পরেই শনিবার সন্ধেবেলা দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য তাসনিম জারা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা জানান জামায়াত-বিরোধী হিসেবে পরিচিত মীর আরশাদুল হক। একের পর এক নেতা-নেত্রী দল ছাড়ায় সঙ্কটে নাদিহ ইসলামরা (Nahid Islam)।
জামায়াতে ইসলামির প্রধান শফিকুর রহমান (Shafiqur Rahman) জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (Liberal Democratic Party) জোটে যোগ দিয়েছে। ফলে আট দলের জোট এখন ১০ দলের জোট হয়ে গিয়েছে। নাহিদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শফিকুর। তিনি আরও জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের দল রবিবার রাতেই সরকারিভাবে জোটের বিষয়ে ঘোষণা করবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।