'বাঙালি পরিচয়' বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া বাংলাদেশ, অস্তিত্ত্ব সংকট রুখতে হিন্দুদের পাশে মুসলিমরাও

বাংলাদেশে হিন্দুদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে হিন্দুরা। গতকাল ঢাকা আর চট্টোগ্রামের পর আজ, রবিবার বরিষালে হিন্দুদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

হিন্দুরা আক্রান্ত হওয়ার পরেও নিজেদের বাঙালি পরিচয় বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে বলেও শপথ নিয়েছে।

আক্রান্ত হিন্দুদের সঙ্গে অনেক জায়গায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন মুসলিমরাও। তাদেরও দাবি তারা সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে হিংসার বিরুদ্ধে সরব হবে।

ঢাকার একদল মানুষ জানিয়েছেন, জামায়াত ইসলামি একটি ইসলামি দল। বাংলাদেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু তারা বাঙালি পরিচয়কে কলঙ্কিত করতে দেবে না।

স্থানীয় এক মুসলিম ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে যা হয়েছে তা ভাল হয়নি। হিন্দুদের ও হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। তবে তারা জামাতের শাসন চায় না। বাংলাভাষী বাংলাদেশের পরিচয় বদল হতে দেবে না।

স্থানীয়দের কথায় বাংলাদেশে হিন্দু ও মুসলিম ভাই ভাই। এখানে বাংলা ভাষাতেই কথা হবে। জামাতের শাসন কার্যকর হবে না।

স্থানীয়দের কথায় শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। পড়ুয়াদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। য দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন সেই কারণে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।

স্থানীয়দের কথায় শেখ হাসিনা যদি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন তাহলে পরিস্থিতি এমন অগ্নিগর্ভ হত না। পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত থাকত। তাঁকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হত না।

৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাহ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে দেশের ৫২টি জেলায় ২০৫টিরও বেশি সংখ্যালঘু আক্রমণের ঘটনা ঘটনায় হিন্দুরাই ছিল মূল টার্গেট। হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। খুন করা হয়েছে প্রচুর হিন্দুদের। বাংলাদেশের হিন্দু মন্দিরও রেহাই পায়নি।

পরপর হামলার ঘটনার পর এবার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দুরা। হিন্দুরাই নিজেদের উদ্যোগে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে সেদেশের হিন্দু মন্দিরগুলিতে।