শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে আমেরিকার ষড়যন্ত্র? গোপন কথা ফাঁস আওয়ামি লিগ নেত্রী

নতুন দিল্লি পৌঁছানোর পরে শেখ হাসিনা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে জদেখা করেছিলেন। ভারতের একাধিক কূটনীতিকের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, যতক্ষণ না তাঁর পরবর্তী গন্তব্য ঠিক হচ্ছে ততক্ষণ এই দেশেই থাকবেন হাসিনা।

সূত্রের খবর নতুন দিল্লির সেফ হাউস থেকে এবার হাসিনা ঘনিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। দলের নেতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন টেলিফোনে।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি ও আওয়ামি লিগের সরকার পতনের জন্য সরাসরি আমেরিকাকে দায়ী করেছেন।

হাসিনার দাবি, আমেরিকার কথামত বঙ্গোপসাগরে একিধিপত্য বাড়াতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তাদের হাতে তুলে না দেওয়ার মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে।

হাসিনা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দাবি জানিয়ে আসছিল আমেরিকা। কিন্তু তিনি ও তাঁর সরকার তাতে সায় দেয়নি। তারই মাসুল দিতে হল এইভাবে।

হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছেন। বলেছেন, তারা যেন দেশকে কিছুতেই মৌলবাদীদের হাতে তুলে না দেয়। তাহলে তাদেরই বিপদ হবে।

হাসিনাকে বাংলাদেশের সেনা বাহিনী মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিল দেশ ছাড়ার জন্য। তারই মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তিনি। তাই শেষ ভাষণ রেকর্ড করতে পারেননি।

শেষ ভাষণে হাসিনা যে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাই এতদিন পরে তাঁর ঘনিষ্টদের বললেন।

হাসিনার মতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভোমত্ব আমেরিকারহাতে তুলে দিয়ে বঙ্গোপসাগরে সে দেশকে ছড়ি ঘোরাতে দিতে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন। দেশ ছাড়ার মত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হত না। তিনিও ক্ষমতায় থেকে যেতে পারতেন।

তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজিদ জয় আগেই বলেছিলেন বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের জন্য দায়ি পাকিস্তানের আইএসআই ও চিন। আইএসআই প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছিল লন্ডন ও আরবের একাধিক দেশে।

ফেসবুকে হাসিনার চিঠি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানিয়েছেন। হাসিনার সমর্থক গোষ্টী সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে