এবার প্রতিবাদে নামতে শুরু করলো হিন্দু সনাতনীরা। সূত্রের খবর, এদিন ঢাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। যেখানে ঢাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এই মিছিল করা হয়।
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নাম করে সংখ্যালঘু হিন্দু সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার নিন্দা জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কার্যত সেই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। অন্যায় ভাবে কেন তাদের ওপর এই আক্রমণ নেমে আসছে, সেই প্রশ্নের উত্তর কারোর জানা নেই।
তবে এবার প্রতিবাদে নামতে শুরু করলো হিন্দু সনাতনীরা। সূত্রের খবর, এদিন ঢাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। যেখানে ঢাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এই মিছিল করা হয়। এই মিছিলের একটাই উদ্দেশ্য যে, বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে মিছিল করেছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ মিছিল কিছুটা হলেও উগ্র মৌলবাদী থেকে শুরু করে যারা সংখ্যালঘুদের ওপর বাংলাদেশে আক্রমণ করছেন, তাদের চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ওই কুকর্মের হোতাদের নাটের গুরু তথা জামাত ইসলামির আমির শফিকুর রহমান আচমকাই হিন্দুপ্রেমী সাজতে হাজির হয়েছিলেন ঢাকার ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরে।
আর মন্দিরে যাওয়ার পরে হিন্দুদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলেন বাংলাদেশে তালিবান শাসনের স্বপ্ন দেখা তথা হিন্দু নিধন যজ্ঞের পুরোধা। গত সোমবার থেকেই গোটা দেশজুড়ে হিন্দুদের উপরে নির্যাতন চালাতে শুরু করেছে জামায়েত ইসলামী-সহ মুসলিম মৌলবাদী দলগুলি। বিভিন্ন জায়গায় মন্দির দখল করে নিয়েছে। হিন্দুদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। খোদ রাজধানী ঢাকায় পুড়িয়ে দিয়েছে গায়ক রাহুল আনন্দের বাড়ি ও স্টুডিও।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।