
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের জামাত নেতা এটিএম আজহরুল ইসলা। শেখ হাসিনার শাসনকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই অপরাধ মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন জামাত নেতা। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সুর্রিম কোর্টের অ্যাপলেট ডিভিশন জামাত নেতাকে সেই মামলায় নির্দোষ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ আরও এক 'রাজাকার' মুক্তিপেয়ে গেল।
আগের রায়ের বিরোধিতা করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থা হয়েছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। এইদিন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ সেই আবেগন গ্রাহ্য করে এটিএমকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের নির্দেশকেও খারিজ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জনিয়েছে, এটিএমকে অন্য কোনও মামলায় গ্রেফতার না করা হলে তাঁকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
২০১২সালের ১২ অগস্ট এটিএমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এটিএম। সেই মামলা চলে দীর্ঘ দিন ধরেষ ২০২০ সালে রায় বেরমোর পরে ফের এটিএম রিভিউ পিটিশন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনও মামলায় রিভিউ পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কোনও ব্যক্তি খালাস পেলেন।
এটিএম আজহারুল জামায়াত ইসলামির নেতা । মহম্মদ ইউনুস সরকারের সবথেকে প্রভাবশালী দল হল জামাত। এটিএম-র আগে একধিক জামাত নেতা বেকসুর খালাস পেয়েছে। ২৭ এপ্রিল এই মামলার রায় দানের আগেই বাংলাদেশের বিচারপতির সঙ্গে নিজের বাসভবনে দেখা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।