একটি সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এক স্কুল ছাত্রীকে নিঝুম গলি দিয়ে স্কুল যেতে দেখা যাচ্ছে। মেয়েটি আপন মনেই হেঁটে যাচ্ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায়।
বাংলাদেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি। তবে তাতে যে কোনও কাজ হয়েছে, তা বুক ঠুকে বলা যায় না। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৯৭৫ জন নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। যৌন নির্যাতনের শিকার হন আরও ১৬১ জন। এই ধরনের পরিসংখ্যানগুলো বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। আরও সহজ করে বললে, আমাদের সমাজ এখনো নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।
এই পরিসংখ্যানের জলজ্যান্ত প্রমাণ তুলে ধরে নানা ঘটনা, যা ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। এরকমই সাম্প্রতিক একটি ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে বাংলাদেশের মহিলারা। একটি সিসিটিভি ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এক স্কুল ছাত্রীকে নিঝুম গলি দিয়ে স্কুল যেতে দেখা যাচ্ছে। মেয়েটি আপন মনেই হেঁটে যাচ্ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায়।
আচমকা গলির ভিতর থেকে জোব্বা ও টুপি পরিহিত এক ব্যক্তিকে জোরে জোরে হাঁটতে দেখা যায়। কিছুটা ছুটে এসেই ওই স্কুল ছাত্রীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে সে। কোনও ব্যক্তি আসছে বুঝতে পেরে মেয়েটি নিজেই সরে গিয়েছিল রাস্তার ধারে। সেখানেই পিছন থেকে হামলা চালায় ওই মুসলিম যুবক। তারপর দৌড়ে রাস্তার যে দিক থেকে সে এসেছিল, সেখান থেকেই পালিয়ে যায়।
এরপর ফুটেজে দেখা যায় মেয়েটি ঘটনার আকস্মিকতায় চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হয়ত বোঝার চেষ্টা করছে যে কেন তাঁর সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটল। এই সিসিটিভি ফুটেজ বেশ চমকে দেওয়ার মত। তবে এই ধরণের ঘটনা বাংলাদেশের মত দেশে নতুন নয়। একশন এইড বাংলাদেশ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, ৮৭ শতাংশ মহিলা বাস টার্মিনাল বা ট্রেন স্টেশনের মতো জায়গায় হয়রানির শিকার হয়েছেন। রাস্তায় আশি শতাংশ আর স্কুল কলেজের বাইরে প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা হয়রানির শিকার হন। গত কয়েক বছরে দেশে পিছু নেয়া নেয়া পুরুষের হাতে এমনকি খুন হয়েছেন স্কুল পড়ুয়া কয়েকজন মেয়ে। পরিবহনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কর্মজীবী মহিলারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।