
ফের প্রকাশ্যে এল এক ভয়ঙ্কর তথ্য। ১৪ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি নাবালিকাকে মহারাষ্ট্র ধর্ষণ ২০০ জনের। ধৃত ওপার বাংলার একাধিক দালাল। বাংলাদেশি নাবালিকাকে মহারাষ্ট্রের এক যৌনচক্র থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। অভিযোগ, গত ৩ মাসে নাসি ২০০ জন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করেছে।
রিপোর্ট অনুসারে, স্কুলে একটি বিষয় ফেল করার পর সেই নাবালিকা বাংলাদেশে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভারতের সীমান্তের এপারে একটি যৌনচক্রে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে তাঁকে মহারাষ্ট্রে পাচার করা হয়। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেই বাংলাদেশি নির্যাতিতার বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এই আবহে ১০ জনতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশি। এছাড়াও পাচার হওয়া আরও ২ জন বাংলাদেশি ছিল সেই ধৃতদের মধ্যে।
এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের যৌথ অভিযানে মীরা ভায়ান্দার ভাসাই-ভিরার পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গত ২৬ জুলাই ভাসাইয়ের নাইগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তাকে বি মুম্বই, পুনে, গুজরাট এবং কর্ণাটকে পাচার করা হয়েছিল বিভিন্ন সময়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে পালানোর পর সেই নির্যাতিতার পরিচিত এক নারী তাঁকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকতে বাধ্য কর। এরপর দেহ ব্যবসায় ঠেকে দেন। মেয়েটিকে অকাল বয়ঃসন্ধিকালে প্ররোচিত করার জন্য হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়া হয়ে থাকতে পারে এবং তাকে ঘুমের ওষুধও দেওয়া হত বলে পুলিশের অনুমান।
পালঘরের অভিযানের পর ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তালিকায় আছে মহম্মদ খালিদ আব্দুল, জুবের হারুন শেখ, শামিম গাফর সরদার-সহ আরও অনেকে। পুলিশ জানিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, পকসো আইন, জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট , ফরেনার্স অ্যাক্ট ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।