
Chinmay Prabhu Bangladesh: বাংলাদেশে অব্যাহত নৈরাজ্য। নতুন বছরেও মেলেনি ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুর জামিন। পদ্মাপারের অশান্তি নিয়ে এবার সরব হলেন সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ইসকন সন্ন্যাসীর উপর ধারাবাহিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এবার চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাল বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (Chinmay Prabhu Bangladesh)।
জানা গিয়েছে, শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি অভিযোগ করে জানায়, ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে এতদিন ধরে বিনা কারণে জেলের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি না দিলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সনাতন পার্টির আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বঞ্চনা, লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আসছেন সেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁদের টার্গেট করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাঁরা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ সনাতন পার্টির আরও দাবি, সাম্প্রতিক গণ আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রের অপশক্তির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, তারপর থেকেই বেছে বেছে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে চিন্ময় প্রভুকে (Chinmay Prabhu Bangladesh)।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির আরেক নেতা দাবি করে জানান, সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh News) সংখ্যালঘু হিন্দুরা অত্যাচারিত। তাঁরা সবাই নিপীড়নের শিকার। কিছু বলতে গেলেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। বাড়িঘর লুটপাট, মন্দির ভেঙে দেওয়া, ঠাকুরের মূর্তি-বিগ্রহ নষ্ট করে দেওয়া হয়। এটাই যেন দস্তুর হয়ে গিয়েছে নৈরাজ্যের বাংলাদেশে।
তিনি আরও জানান, দেশে (Bangladesh) গণ আন্দোলনের সময় সংখ্যালঘু হিন্দুরা রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারই পরিণতি হিসেবে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের নেতা তথা ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসের পর মাস বিনা বিচারে তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তার হয়ে যে আইনজীবী মামলা লড়তে চাইছেন তাঁকেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে!
এদিকে দিন যত যাচ্ছে পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে। উঠে এসেছে বহু অভিযোগ। পদ্মাপাড়ের এই অরাজকতার আবহে বিশ্বজুড়ে সবারই নজর ছিলো নতুন বছরে হয়ত চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তি মিলবে। গত জানুয়ারি মাসে সেই অপেক্ষার প্রহর গোনা একেবারে বিশবাঁও জলে গিয়েছে। মেলেনি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তি। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রামের জেলই অস্থায়ী ঠিকানা হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর।
প্রসঙ্গত শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়ার পর ইউনূস সরকারের বাংলাদেশে ধর্মান্ধদের আস্ফালন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্যতা যে নতুন করে বেড়ে উঠেছে সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। ১৯৪৭ থেকে ৭১ এর পাক অত্যাচার, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে মিত্র ভারত এখন শত্রু দেশ! জিন্নার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ কি এবার তবে পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার পথে? এটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের সবথেকে বড় প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।