
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির প্রয়াণের পরে বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। দেশবাসীকে ধৈর্য ও সংযম রাখার আবেদন জানান তিনি। হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার শোক দিবস পালন করা হবে বলে জানান। সেদিন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। শুক্রবার আয়োজন করা হবে বিশেষ নমাজ প্রার্থনা। সঙ্গে ওসমানের স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার।
মুহাম্মদ ইউনূস জানান, হাদি ছিলেন সন্ত্রাসবাদের শত্রু। তাঁকে হত্যা করে মানুষের কন্ঠরোধ করতে পারবে না গণতন্ত্রের শক্ররা। শহিদ-র প্রতি সম্মান জানাতে তাঁর বার্তা, হাদিশ আদর্শ ও ত্যাগকে ধৈর্যে পরিণত করে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের মঞ্চ থেকে লড়াই করতে হবে। গণতান্ত্রিক ভাবে সন্ত্রাসবাদীদের পরাজিত করেই প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।… গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই সময় কেউ যাতে ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে না দেন তা নিয়ে সতর্ক করেছে সরকার।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-র পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, হত্যাকারীর উপযুক্ত শান্তির হোক।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান। গুলি করা হয়েছিল মাথা লক্ষ্য করে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতায় তাঁকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। বৃহস্পতিহার রাতে পৌনে ১০টা নাগাদ প্রয়াত হন ওসমান। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের শুরু হয় জটিলতা। শাহবাগে জমায়েত হন বহু মানুষ। চট্টগ্রামে ভারতের উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েক জন। এর পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ইউনূল। তিনি সকলকে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন।