
Bangladesh's former President Mohammad Abdul Hamid: খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। কিন্তু সবার চোখে ধুলো দিয়ে ভোর তিনটেয় লুঙ্গি পরেই ঢাকা ছাড়লেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ (Mohammad Abdul Hamid)। ৮১ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), তাঁর বোন শেখ রেহানা (Sheikh Rehana), ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy), মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ পুতুলের নামও জড়িয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের (Obaidul Quader) বিরুদ্ধেও এই খুনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর তিনটেয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Hazrat Shahjalal International Airport) থেকে থাই এয়ারওয়েজের (Thai Airways) উড়ান ধরেন হামিদ। সারা বাংলাদেশ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ফলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যে পালিয়ে গিয়েছেন, তা টের পেতে দেরি হয়ে যায়। তখন আর কিছু করার ছিল না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে ইউনূস সরকার। কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সাসপেন্ড বা বদলি করে দেওয়া হয়েছে। হামিদ কীভাবে বাংলাদেশ ছাড়তে পারলেন, তা জানার জন্য উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত দু'দফায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন হামিদ। তিনি হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত বছর বাংলাদেশে যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল, তখন আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। এই মামলাতেই অভিযুক্ত হামিদ। হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইউনূস সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাড়লেন হামিদ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।