
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
তাঁর দাবি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করেছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন 'দুর্গাপূজা আনন্দ, ভক্তি আর শুভের জয়ের উৎসব। কিন্তু ২০২৪ সালের মত এ বছরও আমাদের হিন্দু ভাই-বোনেরা পূজা করছেন ভয় ও আতংক নিয়ে। ইউনুস সরকারের আমলে উগ্রবাদীদের উত্থানে আবারও বেড়ে গেছে ধর্মীয় নিপীড়ন। মন্দিরে হামলা হচ্ছে, বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এবং স্বাধীনভাবে পূজা-অর্চনা করা আজ গুরুতর সংকটে। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, তারাই এখন সাহস পাচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর আঘাত হানতে।'
তিনি পোস্টে আরও লেখেন- 'আওয়ামী লীগ সবসময়ই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আমরা মন্দির পুনর্নির্মাণ করেছি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করেছি, এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্যের আদর্শই আমাদের রাজনীতির মূল ভিত্তি, কারণ বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছিল ঐক্যের স্বপ্ন থেকে, বিভেদের জন্য নয়। আজ যখন হিন্দু সম্প্রদায় দেবী দুর্গার পূজা করছেন প্রদীপ জ্বেলে, প্রার্থনা করছেন আশীর্বাদের জন্য, তখন তাদের চারপাশে ভয়ের অন্ধকার ঘনিয়ে আছে। তবে এই অন্ধকার স্থায়ী নয়। আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় ফিরবে, আর ফিরবে সেই নিশ্চয়তা—বাংলাদেশে প্রতিটি হিন্দু, প্রতিটি সংখ্যালঘু যেন নির্ভয়ে তাদের পূজা পালন করতে পারে, আর মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিয়ে বাস করতে পারে। দেবী দুর্গা আমাদের দেশকে সাহস, ঐক্য ও শুভের চিরন্তন বিজয় দান করুন।'
ওয়াজেদ জয় বলেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমতা আমাদের রাজনীতির মূল ভিত্তি, কারণ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ঐক্যের ভিত্তিতে, বিভাজনের জন্য নয়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে উগ্রবাদী শক্তি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “এই অন্ধকার দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসবে এবং দেশের প্রতিটি সংখ্যালঘু নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।