
Bangladesh readymade garment manufacturers association writes:বাংলাদেশের রেডিমেট পোশাক স্থলবন্দর দিয়ে আর ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না। জানিয়ে দিল নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের এই বিধিনিষেধে স্থগিতের জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানান। প্রয়োজনে সময় চান। এমনই আর্জি জানিয়েছে বংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে চিঠি লিখল বাংলাদেশের রেডিমেট পোশাক তৈরির সংস্থাগুলির একটি সংগঠন বাংলাদেশ নিউওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন।
এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রীতিমত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশি রফতানিকারকরা। আর ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কমপক্ষে ভারতের কাছ থেকে তিন মাস সময় চেয়ে নিন। এই বিষয়ে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আবেদনও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিকেএমইএ সভাপতি মহম্মাদ হাতেম বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠি গিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'ভারতের বিধিনিষেধের কথা জানার পর বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে ও বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে পরপর দুটি বৈঠক হয়েছে। তাতে সকলেই একই এক মত হয়েছে যে সচিব পর্যায়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই সীমান্তে প্রচুর পণ্য আটকে রয়েছে। তাতে ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। '
পোশাক নির্মাতাদের চিঠিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের খতিয়ানও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ রফতানি পণ্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশকরে। যারমধ্যে অধিকাংশই পোশাক। গত মার্চে ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিল। তাই ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে বলেও বলা হয়েছে।
গত শনিবারই ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক একটি বিবৃতি পেশ করে জানিয়েছে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক ভারতে ঢুকবে না। কেবল মুম্বই ও কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে এই পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে।