কে ওসমান হাদি, যার মৃত্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ? বাংলাদেশি নেতার জনপ্রিয়তার কারণগুলি রইল

Published : Dec 19, 2025, 10:51 AM IST

কে এই ওসমান হাদি? মাত্র ৩২ বছরের জীবনে কী করে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের হাসিনা বিরোধী নেতার মৃত্যুর পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এত অল্প সময় তিনি পৌঁছেছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষ।  

PREV
16
প্রয়াত ওসমান হাদি

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবীদ ওসমান হাদি। তিনি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের মুখ। শেখ হাসিনা পতনের অত্যমত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। পুরোপুরি ভারত বিরোধী। তাঁর মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের আসন রীতিমত টলমল। উত্তাল গোটা দেশ। কিন্তু কে এই ওসমান হাদি? যাকে নিয়ে তুমুল উন্মাদনা বাংলাদেশিদের মধ্যে। আর কেনই তিনি এতটা জনপ্রিয় তাঁর স্বল্প রাজনৈতিক জীবনে? জানুন এই প্রতিবেদনে।

26
জন্মবৃত্তান্ত

ওসমান হাদির জন্ম বরিশালে। তাঁর বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁরা ৬ ভাইবোন। ওসমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এপর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।

36
নতুন জীবন ২০২৪-এ

২০২৪ সাল, কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সরব ছাত্র-যুব। কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে আচমকাই জড়িয়ে পড়েন ওসমান হাদি। তারপর থেকেই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। মূলত হাসিনা বিরোধী হিসেবেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন। তাঁর ভারত বিরোধিতা তাঁকে বাংলাদেশে রীতিমত নবির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।

46
ইনকিলাব মঞ্চ

জুলাই বিপ্লবের সময়ই ওসমান হাদি নিজের উদ্যোগেই বাংলাদেশের ছাত্র আর যুবদের নিয়ে তৈরি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চ। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন ছিল হাদির তৈরি ইনকিলাব মঞ্চ। এদের মূল দাবি ছিল স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।

56
সক্রিয় ওসমান হাদি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হাদির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের পালাবদলের পরও তিনি বিরোধিতার সুর তেমন নরম করেননি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বক্তব্যের ভাষা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করত। কিন্তু সেসব পরোয়া করেননি হাদি।

66
হাদির মৃত্যু

হাদি ছিলেন একজন শিক্ষক। স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই তিনি প্রয়াত হন। মাত্র ৩২ বছরের জীবনে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা পান তিনি। ১৯৯৩ সালে জন্ম হয়। তিনি মৃত্যুর আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন আওয়ামি লিগ তাঁর দিকে সর্বদা নজর রাখছে। তিনি আরও বলেছেন, দেশি বিদেশি ৩০টি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করে আর মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হত। তিনি অজ্ঞাত পরিচয় বাইক আরোহীদের গুলিতে নিহত হন। তবে তাঁর দল বাংলাদগেশের নির্বাচনে ঢাকার ৮টি আসনে লড়াই করবে।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories