
নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতা ৮ নম্বর আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদীকে ঢাকায় গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার ফলে ঢাকা জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সরকার হাদীর সমর্থকদের শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছে।
স্থানীয় বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে, দুপুর ২টার দিকে হাদী ঢাকার ইকবাল মঞ্চে বক্তৃতা দিতে যাচ্ছিলেন, তিনি রিক্সায় ছিলেন, ঠিক তখনই মোটরসাইকেলে আসা দুই অপরাধী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হাদীর মাথায় একাধিক গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার পরেই হাদি-র বোন ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয়। হাদির বোনের দাবি, "ভারতের RAW-এর এজেন্টরা ওকে বাঁচতে দেবে না।"
ওসমান হাদী ইকবাল মঞ্চের মুখপাত্র ছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি মঞ্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওসমানকে একজন বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে বিবেচনা করা হত। আন্দোলনের পর থেকেই ওসমান মাঠে সক্রিয় ছিলেন। ওসমান ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ওসমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। হাদীর বাবা একজন ইমাম। তিন ভাইবোনের মধ্যে হাদি ছিলেন সবার বড়। ফেসবুকে ওসমান হাদির প্রায় ৯,০০,০০০ ফলোয়ার রয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর একটি স্মৃতিসৌধের জন্য প্রচার চালানোর সময় হাদি আলোচনায় আসেন। হাদি যুক্তি দিয়েছিলেন যে জুলাইয়ের বিদ্রোহীদের জন্য একটি স্মৃতিসৌধ প্রয়োজন। হাদির নেতৃত্বে কিছু যুবক শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভেও হামলা চালায়।
ঢাকা পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় হাদিকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পুরো ঘটনাটি তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইউনূস জনতাকে বলেন যে তার প্রচেষ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। যে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।