শেষ ৪৫ মিনিট- দেশত্যাগের আগে কী ঘটেছিল শেখ হাসিনার জীবনে, দেখুন ছবিতে
শেখ হাসিনা সেনা বাহিনীর বেঁধে দেওয়া ৪৫ মিনিটের মধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দেশ ছাড়ার আগে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার সকালে প্রশাসনিক বৈঠক করেন এবং সেনা বাহিনীর চাপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন।
Saborni Mitra | Published : Aug 6, 2024 12:20 PM IST
শেখা হাসিনা
সেনা বাহিনীর বেঁধে দেওয়া সময় মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পাততাড়ি গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের সেফহাউসে রয়েছেন তিনি। কিন্তু দেশ ছাড়ার আগের সময় কেমন ছিল। প্রথম আলো থেকে জানা গেছে সেই তথ্য।
৪৫ মিনিট সময় দেওয়ার কারণ
সেনা বাহিনী সূত্রের খবর শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্বে ছিল উত্তেজিত জনতা। আর সেই কারণে তাঁরে ইস্তফা দিয়ে তড়িঘড়ি দেশছাড়েন। তিনি দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গভবনের দখল নেয় উত্তিজেত জনতা। চলে দেদার লুঠপাট।
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা
দেশ ত্যাগের আগের দিন পর্যন্ত হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। সোমবার দেশ ছাড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত প্রশাসনিক কাজ করেছিলেন।
হাসিনাকে সরতে পরামর্শ
হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে আর রাজনৈতিক চাপের কারণে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। সোমবার সকাল থেকেই তাঁকে তাঁকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কয়েক ঘণ্টা ধরেই বৈঠক আর ফোনে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ঘনিষ্টরা।
সোমবার সকালে প্রশাসনিক বৈঠক
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ১০.৩০টায় দেশের আইন প্রয়োগকারীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তারপরই প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
গণভবনের রাস্তায় মানুষের ঢল
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণভবনের রাস্তায় উন্মত্ত জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। এই অবস্থাতেই সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেই হাসিনাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেয় সেনা বাহিনী। প্রব চাপের কারণেই তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সোমবারই কার্ফু জারি
রবিবার থেকেই নতুন করে বাংলাদেশে শুরুহয়েছিল আন্দোলন। শেখানেই হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। জারি করে কার্ফু। তিন সপ্তাহ ধরেই হাসিনা হাসিনা আন্দোলন থামাতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তা পারেননি।
আত্মবিশ্বাসী হাসিনা
কিন্তু তারপরেও শেষ পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। সেনা বাহিনী থেকে আওয়ামি লিগের নেতারা সকলেই তাঁকে বুঝিয়েছিল। কিন্তু কারও কথা তিনি কানে তোলেননি।
ছেলের ফোন
শেষ পর্যন্ত ছেলে মেয়ে আর বোনের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলে আমেরিকা থেকে তাঁকে বোঝান দেশ ছাড়া তাঁর জন্য জরুরি। বোনাও একটি আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে তাঁকে দেশ ছাড়ার কথা বলেন। তারপরই দেশ ছাড়তে রাজি হন।
দেশ ছেড়ে পালান হাসিনা
শেখ হাসিনা তার ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তার সরকারি বাসভবন সংলগ্ন তেজগাঁও বিমান ঘাঁটির হেলিপ্যাডে পৌঁছান। আগে থেকেই তাঁদের মালপত্র গোছান ছিল।