Sheikh Hasina On Death Verdict: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা। নিজের দেশেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে তার। এই রায় নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
নিজের মৃত্যুদণ্ডের সাজা নিয়ে মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনাল আদালত। যদিও সোমবার নিজের ফাঁসির সাজা শুনে খানিকটা থমকে গেলেও ফের গর্জে উঠেছেন মুজিব কন্যা। এমনটাই দাবি আওয়ামী লীগ সদস্যদের। কলকাতায় অবস্থিত আওয়ামী লিগের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, তার ফাঁসির আদেশ শুনে শেখ হাসিনা দমে যাওয়া তো দূরে থাক। বরং তিনি যুদ্ধের জন্য কোমর বেঁধে নামতে প্রস্তুত। এমনটাই দাবি কলকাতায় থাকা আওয়ামী লিগের নেতা নেত্রীদের। যাদের মধ্যে রয়েছেন লিগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা নেত্রীরা।
26
শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশে মন খারাপ অনুগামীদের
কলকাতায় অবস্থিত আওয়ামী লিগের এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন যে, সোমবার বাংলাদেশ আদালতে শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা শোনার পর তাদের মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর বোধহয় কোনও রাস্তায় খোলা রইল না ভেবে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন তারা। যদিও খানিক পরেই ওই নেতার ফোনে ফোন করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় নেতা-কর্মী, অনুগামীদের মন খারাপ করে বসে না থেকে তাদের কোমর বেঁধে যুদ্ধে নামার বার্তা দেন তিনি।
36
ইউনূসকে পাল্টা আক্রমণ হাসিনার
শুধু তাই নয়, হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে ওই আওয়ামী লিগের নেতা আরও জানান যে- প্রথমে নেত্রী বলেন, ‘’আমার গলায় ফাঁসির রশি আর তোমরা আমাকে একটা ফোনও করলা না?’’ খানিক অপ্রস্তুত হয়ে ওই নেতা জবাব দেন, তিনি ভেবেছিলেন ফোন করবেন। কিন্তু সাহস পাননি। জবাবে হাসিনা তাঁকে সটান বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে কি ফাঁসি দেবেন? তিনি বরং ইউনূসকে ফাঁসি দেবেন! ওই নেতার কথায়, ‘’নেত্রী বললেন, ইউনূস আমাকে কি ফাঁসি দিবে? আমি অরে ফাঁসি দিব! আল্লা আমারে এমনি এমনি বাঁচিয়ে রাখেননি। গ্রেনেড হামলাতেও আমার প্রাণ যায়নি!''
এই বিষয়ে হাসিনা অনুগামীরা আরও জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লিগ একটা অলিখিত জোট হয়ে থাকবে। তারা আওয়ামী লিগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি সহ ১৪ টি পার্টিকে ভোটে লড়তে না দেওয়ায় একটা অলিখিত জোট হয়ে থাকবে। কারণ, আওয়ামী লিগের ধারণা, বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ দল ছাড়া ভোট হলে যে পার্টিই ক্ষমতায় আসবে তাদের বৈধতা তৈরি হয়ে যাবে। ফলে আওয়ামী লিগের জন্য সেই লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
56
লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হাসিনার দল
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের বড় অংশ কলকাতায় আশ্রিত হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কবে দেশে ফিরবেন জানেন না তারা। তাঁরা একান্ত আলোচনায় মেনেও নেন যে, তাঁদের কিছু ভুলও হয়েছিল। মাটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অভ্যুত্থানের খোঁজও পাননি। কিন্তু একইসঙ্গে এখন তাঁরা বলেন যে, ‘’আমরা পিছনের দিকে তাকাতে চাই না। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমরা সামনে তাকাতে চাই।''
66
কোন পথে হাসিনার ভবিষ্যৎ?
আদালত গত বছরের জুলাইয়ের বিদ্রোহের জন্য হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আদালত ছয়টি ভাগে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে হাসিনার অপরাধ মানবতাবিরোধী। একাধিক অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত এই রায়ে বলা হয়েছে যে হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে একজন স্বৈরশাসক হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিরোধী দলকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে, যখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল, তখন তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। আদালত হাসিনাকে অসংখ্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।