শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি দলের প্রার্থী শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন মাত্র ৪৬০টি ভোট।
দেশ জুড়ে প্রচুর অশান্তি এবং ডামাডোলের মধ্যেই ৭ জানুয়ারি, রবিবার বাংলাদেশে হয়ে গেল জাতীয় নির্বাচন। রেকর্ড ভোটে চতুর্থবারের জন্য জয়লাভ করলেন আওয়ামী লিগের (Awami League) সভাপতি শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ -৩ আসন থেকে ২,৯০,৩০০ ভোটের মধ্যে হাসিনা পেয়েছেন ২,৪৯,৯৬২ টি ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি দলের প্রার্থী শেখ আবুল কালাম পেয়েছেন মাত্র ৪৬০টি ভোট। অপরদিকে, মাত্র ৪২৫টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন জাকের পার্টি প্রার্থী মাহাবুর মোল্লা।
তবে, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা নয়, রবিবার নির্বাচনের পর থেকে গণনা যতই এগচ্ছিল, ততই হু হু করে জয়ের পথে এগিয়েছে আওয়ামী লিগ। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে এই দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ভোট পেয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজি রেজাউল হোসেন পেয়েছেন ৫,৯৯৪ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহম্মদ সিরাজুস সায়েফিন পেয়েছেন ২,১৪৩ ভোট। হাসিনা সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও জয়ী হয়েছেন।
রবিবার মোট ৩০০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও নওগাঁ-২ কেন্দ্রের এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হয়। ফলে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। তবে ভোটদানের হার ছিল অনেকটাই কম। সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে জানান বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি হাবিবুল আউয়াল। যদিও এই পরিসংখ্যান নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পরই গণনা শুরু হয় এবং স্থানীয় সময়, সোমবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার জয়ের হাসি হেসে চতুর্থবারের জন্য জয়ী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদ্দেশে বলেন, ‘'তোমাদেরও সুস্বাগতম। আমরা খুবই ভাগ্যবান... ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত আমাদের সমর্থন করেছিল… ১৯৭৫ সালের পর, যখন আমরা আমাদের সম্পূর্ণ পরিবারকে হারিয়েছিলাম… ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতবাসীর প্রতি আমাদের শুভকামনা।’