বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা! নদীর তীর ভেঙে হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকছে, বিপর্যস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ
ব্যাপক বন্যায় ডুবে গেল বাংলাদেশ। ভারতের ডাম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণেই নাকি জলের তলায় বাংলাদেশ। এমনই দাবি করছেন বাংদেশীরা। কিন্তু কেন্দ্র এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।
কেন্দ্র জানায়, "কেন্দ্রীয় সরকার জানায় যে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উপর ডাম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গেট খোলার কারণে বাংলাদেশে বন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এই দাবি "তথ্যগত ভাবে সঠিক নয়" এমনই জানিয়েছে বারত সরকার।
এই বন্যার প্রধান কারণ হল ক্যাচমেন্ট এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত। মূলত আকাশ ভাঙা বৃষ্টির কারণেই নদীর জলের স্তর অত্যধিক বেড়ে গিয়েছে। এই কারণেই সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনিকে।"
এই ভয়ঙ্কর বন্যায় জলের ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু মানুষ ও গবাদি পশু। জানা গিয়েছে, ভারত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরার ডুম্বুর জলাধারের গেট খুলে দিয়েছে।
এর কারণে শুধু বাংলাদেশই নয় ত্রিপুরাও ব্যাপক ভাবে জলমগ্ন হয় পড়েছে। কিছুদিন আগে এই দেশে ছাত্র আন্দোলন চলছিল তাতেও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এবার বন্যার কারণে ফের ভোগান্তির মুখে বাংলাদেশ।
এখনও বন্যা বহাল থাকবে বাংলাদেশে বলে জানা গিয়েছে। ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা জলের বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি। নদীর তীর ভেঙে জল ঢুকে পড়ছে গ্রাম গ্রামে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে ঘর, বাড়ি, রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়েছেন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ।
ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে জেলা প্রশাসন। স্পিডবোট ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বহু মনুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।