শেখ হাসিনার বিপদ আরও বাড়ল! এবার বাংলাদেশে গুমের ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার আমলে হওয়া গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনটি গুমের কারণ এবং এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবে। 

আরও বিপাকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তাঁর জমানায় হওয়া গুমের ঘটনাগুলি নিয়ে তদন্ত কমিশনা বসাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মুদ ইউনুস সভায় উপস্থিত ছিলেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার আমলে অনেককে গুম করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। যারা বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হয়েছে, সেসব গুমের কারণ কী, কারা দায়ী - তা খতিয়ে দেখাই হবে এই কমিশনের প্রধান কাজ। শোনা যায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্রাস ছিলেন রাজনৈতিক বন্দিদের। স্থানীয়দের কথায় বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারছিলেন না। আর সেই কারণে রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি করেছিলেন আয়না ঘর। যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে ত্রাস বা বিভীষিকাময়। ২০১৬ সালের ২১ অগস্ট ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ঢাকার মিরপুরের বাসভবন থেকে। সেই থেকেই ব্যারিস্টার বন্দি হাসিনার তৈরি আয়নাঘরে। প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমিকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে গ্রেফতার করেছিল হাসিনা সরকার। তাকেও রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের একটি গোপন কারাগারের আয়নাঘরে। হাসিনার তৈরি বিরুদ্ধ রাজনৈতিক কর্মীদের গুমঘর। প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার একটি উপায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩টি গোপন আটক কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি রয়েছে ঢাকায়। ঢাকার সেনা নিবাসে আয়নাঘর একটি রহস্যময় স্থান। সেখানে বন্দিদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। আয়নাঘর পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স। অনেকে আবার বলে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য নয় , চরমপন্থীদেরও আয়নাঘরে আটকে রেখে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হত।

Latest Videos

যমুনার সামনে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও বক্তব্য রাখেন। সভায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহত ব্যক্তিদের বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত এই ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন আহত-নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার কাজ করবে এই ফাউন্ডেশন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'বালি চুরি, কয়লা চুরিতে যুক্ত পুলিশদের একাংশ' বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার | Mamata Banerjee
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
বিচ্ছেদের পরও ভয়ঙ্কর আক্রমণ প্রাক্তন জামাইয়ের! আতঙ্কে গোটা পরিবার | Hooghly News Today
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি