৬০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি ভান্ডারিয়া উপ-জেলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগীয় সদর দপ্তর বরিশাল যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতিবেগ বেশি থাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। পরে পুকুরে পড়ে যায়।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শনিবার ২২ জুলাই ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রী ভর্তি একটি বাস রাস্তার পাশে একটি বড় পুকুরে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন এক ডজনেরও বেশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাচ্ছিল বাসটি। অভিযোগ, ‘বাসার স্মৃতি’ নামের ওই বাসের বহনক্ষমতা ছিল ৫২ জন। কিন্তু জোর করে তাতে আরও যাত্রী তোলা হয়েছিল। চালকই বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠেসে যাত্রী তুলছিলেন। প্রায় ৬৫ জন বাসটিতে উঠেছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ৬০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি ভান্ডারিয়া উপ-জেলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগীয় সদর দপ্তর বরিশাল যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতিবেগ অতিরিক্ত বেশি থাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। পরে পুকুরে পড়ে যায়।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
পুলিশ জানিয়েছে যে ডুবুরিরা পুকুর থেকে ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, এবং ৩৫জন আহতকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টার পর ক্রেনের সাহায্যে জলভরা পুকুর থেকে বাসটিকে বের করা হয়। পুকুর থেকে যে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের পেটে অনেক জল ঢুকে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আহতেরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও এই ঘটনার জন্য বাসের চালককে কাঠগড়ায় তুলেছেন। পুলিশের উপ-পরিদর্শক গৌতম কুমার ঘোষ জানান, নিহতদের মধ্যে আট মহিলা ও তিন শিশু রয়েছে। ঝালকাঠির প্রধান সরকারি হাসপাতালে আরো ২০ যাত্রীর চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে কয়েকজন যাত্রীর সামান্য আঘাত রয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে বাস দুর্ঘটনা
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য বাসের চালককে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, বাসে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাস দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) অনুসারে, দেশে বাস দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে শুধুমাত্র জুন মাসে মোট ৫৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৫৬২ জন মারা গেছে এবং ৮১২ জন আহত হয়েছে।