বাংলাদেশে একের পর হিংসার ঘটনায় আঁতকে উঠছে বিশ্ববাসী। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মহসিন রেজাকে কার্যত পুড়িয়ে মারা হল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ! একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে সেদেশের ভয়ঙ্কর ভিডিওতে। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশনের ব্যানারে অসহযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সদস্যদের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বিরাট আকার নেয়। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়। এর জেরে পদত্যাগ করেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই সেই দেশের শাসন সেনাদের হাতে চলে যায়।
বাংলাদেশে একের পর হিংসার ঘটনায় আঁতকে উঠছে বিশ্ববাসী। বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মহসিন রেজাকে কার্যত পুড়িয়ে মারা হল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও দেখে কেঁপে উঠছেন বিশ্ববাসী। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। তবে ভিডিওর বীভৎসতা কাঁপিয়ে দিয়েছে আমজনতাকে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিকেল তিনটের সময় একটি বিক্ষোভ মিছিল তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে যায়। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি সাত রাউন্ড গুলি চালান। এরপরেই উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মহসিন রেজা সহ তিন জনকে পিটিয়ে হত্যা করেন। নিহতদের মধ্যে তাঁর গাড়ির চালকও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই হত্যার হোলিখেলা প্রথমে ছিল ছাত্র আন্দোলন। তা শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছে বিশৃঙ্খল তাণ্ডবে। গতকাল বিকেলে জানা গিয়েছে, ঢাকায় ভারতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়েছে । ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দু মন্দিরও । বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গতকাল সংঘর্ষে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০৯ জনের। পরে অন্যান্য রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩৫। বাদ যায়নি পুলিশ স্টেশনও। রাজধানী ঢাকাতে অন্তত ১৩টি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে গতকাল। বাংলাদেশের দু'টি কারাগারে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আর এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। একের পর এক হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলার খবরও উঠে আসে। তবে যে মন্দিরগুলি শুধু টার্গেট করা হয়েছে তা কিন্তু নয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনের আছিলায় বাংলাদেশে হামলা চলছে সংখ্যালঘুদের ওপরে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।