জার্মানির এক গম ক্ষেত নিয়ে হইচই বিশ্বজুড়ে। কারণ, রাতারাতি এই গম ক্ষেতে তৈরি হয়েছে এক অবাক করা নক্সা। চট করে দেখলে কেউ বলতে পারে, কম্পাস নিয়ে কেউ হয়তো নিবিড় মনে তৈরি করেছে এই জিনিসটা। জার্মানির পাইহল শহরের এই ঘটনা ভ্রমণার্থীদের মনেও কৌতুহল তৈরি করেছে। ফলে, এখন পর্যটকদের ঢল নেমেছে সেখানে।
আরও পড়ুন- দিনের আলোয় দেখা মিলল রহস্যময় প্রাণীর, ভিডিও ঘিরে শোরগোল নেট দুনিয়ায়
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি ভিডিও তৈরি করেছে এই গম ক্ষেত-কে নিয়ে। এরিয়াল ভিউ থেকে তোলা এই ভিডিও ঘিরেও তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। কারণ, উপর থেকে এই নক্সা এমন সব ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেছে যে মানুষ তা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত।
পর্যটকদের একজন, রেইনার বারস্টেখ জানিয়েছেন, এ এক অভূতপূর্ব ব্যাপার। এই ঘটনাকে কোনওভাবেই শুধু তত্ত্বকথায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। এটা এমন একটা জিনিস যা হয়তো আমাদেরকে নতুন করে কিছু ব্যাখ্যা তৈরি করতে সাহায্য করবে। এই ঘটনার পিছনে আসল কারণ কি তা খুঁজে দেখাটাও দরকার।
আরও পড়ুন- এটা কি কোনও ভিনগ্রহী পরজীবী, রহস্য জল্পনা তুঙ্গে এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে
অনেকের মতে, এই ধরনের নক্সা এর আগেও বিশ্বের নানা প্রান্তে দেখা গিয়েছে। কোথাও শুকনো ঘাসের উপরে, কোথাও ফসলের ক্ষেতে আবার কোথাও ঝোপঝাড়ের মধ্যে। সেই সব ঘটনা যখন সামনে এসেছিল তখন অনেকেই ভিনগ্রহের জীবদের কথা টেনে এনেছিলেন। অনেকেই দাবি করেছিলেন, আসলে ভিনগ্রহের যান অবতরণ করায় এই নক্সা তৈরি হয়েছিল। জার্মানির পাইহল শহরের ঘটনায় ভিনগ্রহের তত্ত্ব কতটা খাটবে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন- এরাই নাকি ভিনগ্রহী, আসল পরিচয় জানতে পেরে বিস্মিত গোটাবিশ্ব
কৃষি বিশেষজ্ঞরাও এই নিয়ে কোনও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না। অনেকে বলছেন ক্ষেতের মধ্যে এই ধরনের নক্সা স্বাভাবিক। আবার অনেকে এই তথ্য মানতে অস্বীকার করছেন। তাদের দাবি, এই নক্সা কোনওভাবেই মানুষর সৃষ্টি করা নয়। অনেকের আবার দাবি, বাতাসের গতি পরিবর্তনে গমের ক্ষেতে এই ধরনের নক্সা তৈরি হয়েছে। যদিও, ঘটনার আসল সত্যতা এখনও সামনে আসেনি।