প্রথম কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের বিশ্বাস করা উচিৎ নয় যে কোনও চাইলে লিঙ্গ বদল করতে পারে।
লিঙ্গ নিয়ে আবারও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এবার তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য লিঙ্গ নিয়ে। রূপান্তরকামী সম্পর্কে তাঁর মতামত নিয়ে উত্তাল ব্রিটেন। বুধবার ঋষি সুনাক বলেছেন, 'পুরুষরা পুরুষ। আর নারীরা নারী। যে কেউ চাইলে যে কোনও লিঙ্গের হতে পারেন। এমনটা ভাবা উচিৎ নয়।' তিনি আরও বলেন , এই ভাবাটা মানুষের হিসেবে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যকে ধর্ষণ করার সামিল।
প্রথম কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের বিশ্বাস করা উচিৎ নয় যে কোনও চাইলে লিঙ্গ বদল করতে পারে। একজন পুরুষ। পুরুষই থাকে। মহিলা মহিলাই থাকে। এটা একটা সাধারণ জ্ঞান।' তিনি আরও বলেন, সম্পর্ক সম্পর্কে যেকোনও সন্তান স্কুলে কি শিখছে তা নিয়ে বাবা মায়ের সর্বদা সচেতন হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, বাবা ও মায়েদের কখনই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক নয়। রোগীদেরও জানা উচিৎ হাসপাতালগুলিও পুরুষ ও মহিলা সম্পর্কে কথা বলছেন। ঋষি সুনাকের মন্তব্যে ব্রিটেনে বিতর্ক তৈরি হলেও কনজারভেটিভ পর্টির সমর্থক ও উপস্থিত শ্রোতারা তাঁর মন্তব্য সাদরে গ্রহণ করেছে।
ঋষি সুনাক তাঁর মন্তব্য অ-প্রাপ্ত বয়স্কদের ধূমপান নিয়েও কড়া মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ধূমপান মূক্ত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। সিগারেট কেনার বৈধ বয়স প্রতি বছর বাড়ানর প্রস্তাবও করেছেন তিনি। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন কিশোরীদের প্রথমে সিগারেট কেনা বন্ধ করতে চান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে তার দল এই দেশকে পরিবর্তন করতে চলেছে এবং এর অর্থ, দেশের মানুষের জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা। তাই তাঁর দল ও সরকারের পদক্ষেপে বিতর্ক তৈরি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। কঠোর পরিশ্রমী মানুষের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে তিনি একমত বলেও জানিয়েছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে সিগারেট ব্যান করার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটেনের,। সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে ঋষি সুনাকের সরকার। তেমনই জানিয়েছেন বিট্রেন প্রশাসনের এক পদস্থথ আধিকারিক।