রাজ তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামেলিয়ার সঙ্গে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি মিছিলও ছিল। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছে জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী।
এক হাজার বছরের পুরনো প্রথা মেনেই ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর সহধর্মিনী রানি ক্যামিলিয়া শনিবার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক হচ্ছে। ১০৬৬ সালে ইউলিয়াম দ্যা কনকারের পরে থেকে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতেই ব্রিটিশ রাজাদের রাজ্যাভিষেক হয়েছে। সেই প্রথাই অনুসরণ করছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। রাজদম্পতি একটি ঐতিহ্য মেনেই একটি রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দা গাড়িতে করেই ওয়েস্টমিনস্টার থেকে অ্যাবেতে গিয়েছিলেন। যটি ২০১২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। এটির সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে সোনা।
রাজ তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামেলিয়ার সঙ্গে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি মিছিলও ছিল। যা হাউসহোস্ট ক্যাভালরি মাউন্টেড রেজিমেন্টের সার্বভৌম এসকর্টকে কেন্দ্র করেই তারি হয়েছে। বাহিনীর আরও ১ হাজার সদস্য রুটলাইনার হিসেবে তাদের পাশে ছিল। অ্যাবেতে রাজাকে ২২০০ জনের একটি মণ্ডলী অভ্যর্থনা জানায়, এই মণ্ডলীর সদস্যরা রাষ্ট্র ও সরকারের প্রধান। বিশ্বের বাকি রাজপরিবের সদস্যও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছে। গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি। তবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, মুলসিম ও ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
গত এক হাজার বছর ধরেই অ্যাবেতেই বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজমুকুট তুলে দেওয়া হয় প্রতিনিধিদের হাতে। সবকিছু প্রথা মেনে হলেও এবার রাজ্যভিষেকে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন, ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বাইবেলের কলোসিয়ানস ১.৯-১৭ পড়বেন।
এই অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উৎসহ রয়েছে লন্ডনের বাসিন্দাদের, সেন্ট্রাল লন্ডনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়। সকলেই ব্রিটিশ পতাকা নিয়ে শুভেচ্ছা জানাচচ্ছে। তবে প্রতিবাদী কিছু গোষ্ঠী যারা রাজপরিবারের বিলুপ্তির জন্য সরব তারা এদিনও ট্রাফালগার স্কোরায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। ভারতের হয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী। রাজপ্রাসাদের তরফ থেকে জানান হয়েছে, সার্বভৌমের মুকুট পরানো একটি প্রাচীন অনুষ্ঠান, যা ধর্মীয় তাৎপর্য, ইতিহাস এবং প্রতিযোগিতায় সমৃদ্ধ৷ এই পরিষেবাটি গভীরভাবে পবিত্র এবং ঐতিহ্যবাহী যেখানে আজকের রাজার ভূমিকাকে প্রতিফলিত করে এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছে। রাজা এবং রানী করোনেশন থিয়েটারের চেয়ারস অফ এস্টেটে পৌঁছাবেন এবং নীরব প্রার্থনার ব্যক্তিগত মুহূর্ত থাকবে, যেমনটি ১৯৫৩ সালে তার রাজ্যাভিষেকের সময় তার প্রয়াত মা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করেছিলেন।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান পাঁচটি মূল পর্যায় নিয়ে গঠিত হবে: স্বীকৃতি; শপথ; অভিষেক; বিনিয়োগ এবং মুকুট; এবং এনথ্রোনমেন্ট এবং শ্রদ্ধা। "ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন, বা রাজ্যের মুকুট, রাজকীয় বিনিময়ের মুকুট সেন্ট এডওয়ার্ডস ক্রাউনের জন্য করোনেশন সার্ভিসের শেষে।