সূত্রের খবর ব্রিটিশ সরকার বিদেশ থেকে আগত সবচেয়ে বিপজ্জনক মৌলবাদীদের চিহ্নিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ করছে যাতে তাদের তালিকায় যুক্ত করা যায় ভিসা না দেওয়া হয়।
জেহাদি এবং উগ্র মৌলবাদের কারণে ব্রিটেনের গণতান্ত্রিক ও বহু-বিশ্বাস মূল্যবোধ হুমকির মুখে পড়েছে। একই বিষয় সম্পর্কে প্রতিবেদন তুলে ধরে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি টেলিগ্রাফ। তারা জানিয়েছে যে, সুনাক সরকার মৌলবাদী কার্যকলাপের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এরপরেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঋষি সুনক সরকার। জানা গিয়েছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা।
সূত্রের খবর ব্রিটিশ সরকার বিদেশ থেকে আগত সবচেয়ে বিপজ্জনক মৌলবাদীদের চিহ্নিত করার জন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ করছে যাতে তাদের তালিকায় যুক্ত করা যায় ভিসা না দেওয়া হয়। নতুন পরিকল্পনার অধীনে, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বন্ধ করা হবে। ব্রিটেনের হোম অফিসের একজন মুখপাত্রও বলেছেন যে, সমাজে জেহাদ অথবা মৌলবাদের কোনো স্থান নেই।
ব্রিটেনের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্বেষ ছড়ানো সমস্ত প্রচারকদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে। এই পরিকল্পনার ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকে আসা জেহাদি ইসলামি মতবাদের প্রচারকদের ব্রিটেনে প্রবেশ বন্ধ হতে চলেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকেও জেহাদি মতাদর্শে পুষ্ট ব্যক্তিদের নেওয়া বন্ধ করবে ব্রিটেন। আর এই নির্দেশ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি ব্রিটেন, জার্মানির মতো বিশ্বের তথাকথিত উন্নত দেশগুলো ধীরে ধীরে ধর্মীয় গোঁড়ামির এবং কুসংস্কারের অতল গভীরে চলে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে মূল সমস্যা শরণার্থী রূপে যারা আশ্রয় নিচ্ছে তারা। বিগত বহু সময়ে শরণার্থীদের তাণ্ডব দেখেছে ইউরোপ। কিন্তু এবার সেই সমস্যার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ব্রিটিশ সরকার। ধর্মীয় উপদেশ দেওয়ার নামে বিদ্বেষ ছড়ানো সমস্ত প্রচারকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।