সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পৌরুষত্বের সমস্যা ছিল। কিন্তু বাবার সঙ্গে নিজের বীর্য মিশিয়ে সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে পেরেছিল। তাতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের বার্নসলে শহরে বসবাসকারী এক ব্যক্তি তার সঙ্গীকে গর্ভবতী করার জন্য বাবার শুক্রাণুর সঙ্গে নিজের বীর্য মিশিয়েছিলেন। বার্নসলে কাউন্সিলে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। সেখানেই এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যব্সথা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাকে পিতৃত্ব পরীক্ষা করতে বলে। তবে হাইকোক্টের এক বিচারকের রায়ে স্বস্তি পেয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। কারণ রায়ে বলা হয়েছে পুরুষকে পিতৃত্বের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা যাবে না।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পৌরুষত্বের সমস্যা ছিল। কিন্তু বাবার সঙ্গে নিজের বীর্য মিশিয়ে সঙ্গীকে গর্ভবতী করতে পেরেছিল। তাতে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপরই তার সঙ্গে আইনি লড়াই শুরু করে। তখনই এই ঘটনা সামনে আসে।
আদালতের রায়ে বিচারক বলেছেন, যে কোনও পরীক্ষার ফলাফলে কাউন্সিলের কোনও অংশীদারিত্ব নেই। আদালতকে আরও জানান হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বাবা ও তার সঙ্গী সন্তানের গর্ভধারনের বিষয়টি গোপন রাখার পুরো ব্যবস্থা করেছিল। এই গোপন রাখার অভিপ্রায় থেকেই স্পষ্ট যে বিষয়টিতে গোলমাল রয়েছে।
জানুয়ারিতে আদালতের শুনানির সময় বলা হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাঁচ বছরের শিশুর বাবা। ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেওয়ার জন্য শেফিল্ডের হাইকোর্টে আবেদনকারী দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখান থেকেই সমস্যাটি বার্নসলে কাউন্সিলের সামনে আসে। তারপর যায় হাইকোর্টে। বিচারপতি পুল কাউন্সিলের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল। বলেছিল এখানে সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে বাবা ও মায়ের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। সন্তানকে কেউ অস্বীকার করছে না। এখানে কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থও নেই। তাই ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
তবে শিশুটিকে অদ্বিতীয় বলে চিহ্নিত করেছে আদালত। বিচারক বলেছে, যে পরিবার কল্যাণ একটি মাইনফিল্ডি তৈরি করেছে। বিচারক আরও বলেছেন, 'আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে মা ও সন্তানের বাবা ও ঠাকুরদা এই সন্তানের জন্য একটি পরিকল্পনা করেছিল। না হলে এইভাবে শিশুটির জন্ম হত না। ' তিনি আরও বলেছেন, এই শিশু অনন্য শিশু। কারণ এই ব্যবস্থা না হলে শিশুটিরও কোনও অস্বস্তি থাকত না। কিন্তু এই ব্যবস্থাগুলি মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিচারক আরও বলেছেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে আর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। পরীক্ষা ছাড়াই জৈবিক পিতৃত্ব অনিশ্চিত থেকে যায় তবে একটি শক্তিশালী সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিশুটি যাকে দাদু বলে মনে করে সে তার বাবাও হতে পারে আবার এখন যাকে বাবা বলে মনে করে সে সৎ ভাই হতে পারে। তাই আর জটিলতার প্রয়োজন নেই।