সম্প্রতি ব্রিটেনের সাংসদরা বিদেশে গিয়ে যে যথেচ্ছ আচরণ করছে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। জানা গেছে বেশিরভাগ ব্রিটিশ এমপি রাই বিদেশে গিয়ে যৌনকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান। এমনকি কেউ কেউ মদ্যপানেও বুঁদ হয়ে থাকেন সর্বক্ষন।
পার্লামেন্ট যেকোনো দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।তাই এখানে যারা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তারাও অনেক উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন এমন ধারণাই নিয়েই চলে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটেনের সাংসদরা বিদেশে গিয়ে যে যথেচ্ছ আচরণ করছে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। জানা গেছে বেশিরভাগ ব্রিটিশ এমপি রাই বিদেশে গিয়ে যৌনকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান। এমনকি কেউ কেউ মদ্যপানেও বুঁদ হয়ে থাকেন সর্বক্ষন। বিদেশে গিয়ে এমন আচরণ করলে তা দেশের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির উপর বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে তাই এবিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সুনক।
সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দাবি জানিয়েছে যে বিদেশ সফরে গিয়েই ব্রিটিশ এমপিরা করেন মদ্যপান আর তার সঙ্গেই চলে তাদের উদ্দাম যৌনাচার।সরকারের কয়েকজন প্রবীণ সদস্য বিষয়টির উপর লাগাম টানার চেষ্টা করলেও তারা সেটিতে ব্যর্থ হলে এবার ঋষি সুনক বিষয়টিকে নিজের হাতে তুলে নেন। এই মদ্যপান ও উদ্দাম যৌনাচারের ফলে এমপিদের আচরণেও দেখা গেছে অসঙ্গতি।
খবর প্রকাশ্যে আসে যখন কনজ়ারভেটিভ পার্টির এক প্রাক্তন এমপি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে গিয়ে খোঁজ করেছিলেন, নিকটবর্তী যৌনপল্লী কোথায়? লেবার পার্টির এক এমপি-র বিরুদ্ধে আবার রুশ মহিলাদের প্রতি তীব্র অনুরাগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, কয়েক জন এমপি এমন সব পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তরুণ-তরুণীদের নিয়ে আসা হয়েছিল যৌন চাহিদা পূরণের জন্য।সুনকের দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপস’ (এপিপিজিএস) আয়োজিত বিদেশ সফর ঘিরেই যাবতীয় অভিযোগ।তবে ব্রিটেনের মর্যাদাহানি যাতে না হয় সেই দিকেই নজর দিচ্ছেন এখন সুনক।