ব্রিটেনের কেন্ট শহরের এই নতুন স্কীম এখন নজর কেড়েছে নেটিজেনদেরও । এবার মাত্র ২৮০ ইউরোর লটারির টিকিট কাটলেই বোনাঞ্জা অফারে মিলতে পারে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
লটারিতে শুধু অর্থলাভই নয় এবার হবে গৃহলাভও। ব্রিটেনের কেন্ট শহরের এই নতুন স্কীম এখন নজর কেড়েছে নেটিজেনদেরও । এবার মাত্র ২৮০ ইউরোর লটারির টিকিট কাটলেই বোনাঞ্জা অফারে মিলতে পারে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এই লোভনীয় অফারের টোপ দিয়েই প্রচারের এক অদ্ভুত উপায় ফাঁদলেন ড্যানিয়েল, জেসন এবং উইল টোয়েনফোর নামে তিন ভাই । ব্রিটেনের সম্ভাব্য গৃহক্রেতাদের নিজেরদের দিকে টানতেই এমন পরিকল্পনা তাদের । অফারটি হলো, ২৮০ ইউরো মূল্যের টিকিট কেটেছেন- এমন চারজন ভাগ্যবান ক্রেতা লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে পেতে পারেন ৩.৭ কোটি টাকার একটি তিনতলা , বিলাসবহুল বাড়ি। ওই বাড়িতে থাকবে একটি বিশাল শয়নকক্ষ , একটি বড়ো রান্না ঘর , খাবারের জায়গা , বসার ঘর ও একটি উঠোন। এছাড়াও থাকবে নামি দামি সব আসবাবপত্র। বাড়িটির সবথেকে আকর্ষণীয় কোনটি সাজানো থাকবে সোনার অগ্নিকুন্ড বা ফায়ার স্পেস দিয়ে।বাড়িটির বিবরণ শুনেই অনেকে ইরিমধ্যেই কেটে ফেলেছেন লটারি টিকিট। বাড়িটিতে কেউ ভাড়াটে হিসাবে থাকতে চাইলে তাকে মাসিক ভাড়া হিসাবে দিতে হতো ১,৮৮,০০০। কিন্তু টোয়েনফোর ভাইয়েরা এটাকে বাবারা না দিয়ে লটারির মাধ্যমে সরাসরি অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন।
কেমব্রিজ নিউজ অনুসারে, টোয়েনফোর ব্রাদার্সকে এখন যদি এই বাড়িটির স্ট্যাম্প ডিউটি ও স্থানান্তর বাবদ আইনি ফি দিতে হয় তবে তাদের সেই ফি জোগাড় করতে ২৮০ ইউরোর মোট ১,৫৫,০০০ টি টিকিট বিক্রি করতে হবে। যদি তা না হয় তবে টোয়েনফোর ব্রাদার্স ওই বাড়ির ৭০ শতাংশ পে করবেন বাকি ৩০ শতাংশ বিজয়ীকে পে করতে হবে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত ওই তিনজন তা করতে সফল হয়েছেন।
ড্যানিয়েল টুয়েনফোর স্থানীয় এক মিডিয়াকে বলেন, "আমি প্রাথমিকভাবে মহামারী চলাকালীনই আমার নিজের সম্পত্তি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলাম। মূলত আমার দুটো বন্দকী জিনিস ছাড়াতেই এমন পরিকল্পনা করতে খানিক বাধ্য হয় আমি। প্রথম প্রতিযোগিতার পর আমি লোকেদের ব্যক্তিগতভাবে ইমেল করে এই স্কিম সম্পর্কে অবগত করি।এই স্কিম মূলত লোককে সম্পত্তির সিঁড়িতে উঠতে সাহায্য করবে।এতগুলো জীবন পরিবর্তন করতে পারাটা একটা আশীর্বাদ তাই এই লটারি স্কিং বার করে আমার খুব ভালো লাগছে। "
সৌভাগ্যবান বিজয়ীরা শুধু জমকালো বাড়িই পাবেন না, সেই বাড়িতে কোনো ভাড়া বা বন্ধক ছাড়াই বসবাস করতে পারবেন। চটকদার বাড়িটি একটি অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরী এবং লন্ডন থেকে ট্রেনে প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে কেন্টের প্রাণবন্ত মেডওয়েতে এটি অবস্থিত।
ট্রামওয়ে পাথের ওয়েবসাইট অনুসারে, কেন্টের মেডওয়েতে এই অত্যাশ্চর্য বাড়িটি এমন পরিবেশে অবস্থিত যেটি পরিবার নিয়ে থাকার একটি আদর্শ স্থান । এই ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পে সমৃদ্ধ। যারা এখানে শান্তির খোঁজে আসেন মূলত উপভোগ করেন এখানকার আসে পাশের দর্শনীয় স্থানগুলি । এছাড়াও এখানে বেশ কিছু স্থানীয় আকর্ষণ রয়েছে। কাছাকাছি ২ টি ট্রেন স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে চাথাম স্টেশন হল সবচেয়ে কাছের স্টেশন। লন্ডন ভিক্টোরিয়া এবং লন্ডন সেন্ট প্যানক্রাসে যেতে এখন থেকে মাত্র ১ ঘন্টা সময় লাগে।
আরও পড়ুন
সূর্যের হাসি দেখেছেন ? দেখুন সম্প্রতি নাসার তোলা সূর্যের হাসির ছবি
রাশিয়ার কোস্ট্রোমা শহরের এক ক্যাফেতে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১৫ , আহতের সংখ্যাও ৭