লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিংগুলোর দরজায় কমলা রঙের স্প্রে পেন্ট করে দিলো জলবায়ু কর্মীরা, প্রতিবাদের এই অভিনব আঙ্গিক ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

Published : Nov 01, 2022, 12:11 AM ISTUpdated : Nov 01, 2022, 12:16 AM IST
london gallery protest

সংক্ষিপ্ত

সোমবার " জাস্ট স্টপ অয়েল " আন্দোলনের ছজন কর্মীর এক অভিনব কর্মকান্ড সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে।লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিংগুলোর দরজায় কমলা রঙের স্প্রে পেন্ট করে দিলো জলবায়ু কর্মীরা।

প্রকৃতির জ্বালানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে চলতে হতে থাকলে একদিন চূড়ান্ত জ্বালানি সংকটে পড়বে পৃথিবীবাসী। তার আগে নানান ক্যাম্পেইন করে পৃথিবীবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করেছে পরিবেশবিদরা। কিন্তু কোনো চেষ্টাই সেই অর্থে খুব একটা ফলপ্রসূ না হাওয়ায় এবার মানুষের মনোযোগ আকর্ষণে এক অভিনব উদ্যোগ নিলো পরিবেশবিদরা। লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক বিল্ডিংগুলো অর্থাৎ এম ১৫ বিল্ডিং , ব্যাঙ্ক অফ লন্ডন ,লন্ডন ব্রিজের নিউজ কর্পোরেশনের সদর দফতর- এই গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলোর দরজায় কমলা রঙের স্প্রে পেন্ট করে দিলো জলবায়ু কর্মীরা। সোমবার " জাস্ট স্টপ অয়েল " আন্দোলনের ছজন কর্মীর এই অভিনব কর্মকান্ড সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে।স্প্রে পেন্ট করার এই ভিডিওগুলি এখন রীতিমতো ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে । ওই আন্দোলনকারীরা অবশ্য তাদের এই কাজকে জীবাশ্ম জ্বালানি অপচয় বন্ধ করার চারটি স্তম্ভ পদক্ষেপ বলেই আখ্যায়িত করেছে।

আন্দোলনকারীরা যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে নতুন করে দেওয়া তেল ও গ্যাসের লাইসেসন্স, বন্ধ করার দাবিও করেছে । তাদের মতে জীবাশ্ম জ্বালানি চারটি অর্থনৈতিক স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব করে - সরকার ,নিরাপত্তা , অর্থ ও মিডিয়া। সেকারণেই তারা মূলত এই চারটি বিল্ডিং এর দরজা কেই বেছে নিয়েছেন আন্দোলনের মূল ক্ষেত্র হিসাবে।

এর আগেও জাস্ট স্টপ অয়েলের সমর্থকরা লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারিতে ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের মাস্টারপিস ছবি 'সানফ্লাওয়ারস'-এ টমেটো স্যুপ ছুড়ে মেরেছিলো ।ছবিটি অক্ষত থাকলেও , মূলত ছবির ফ্রেমের সামান্য ক্ষতি হয়। লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক ও শিল্পকর্মকে লক্ষ্যবস্তু করে প্রতিবাদের এই এই অদ্ভুত ধারা নজর কেড়েছে নেটিজেন মহলের।

এবিষয়ে প্রশ্ন তুললে জাস্ট স্টপ অয়েলের কর্মকর্তা জানান , " আমাদের ভালোবাসার সব জিনিস ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এটা দেখতে আমদের কারুরই খুব একটা ভালো লাগে না । তাই আমরা প্রতিবাদের এই অভিনব আঙ্গিক বেছে নিয়েছি। ক্ষুধার্ত মানুষের দুর্বলতা , ও দুর্দশা থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানিগুলি তাদের মুনাফা করে । জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষ হয়ে গেলেও জ্বালানি কোম্পানিগুলির লাভের অঙ্কটা এখনও , বহাল তবিয়তে উর্ধমুখী । কারণ এই কোম্পানির মুনাফার সঙ্গেই কোথাও যুক্ত আছে রাজনৈতিক স্বার্থ। এই স্বার্থান্বেষী চিন্তাভাবনাই আমাদের রাজনীতি।, সরকার , মিডিয়া সবাইকে কলুষিত করছে। "

 

PREV
click me!

Recommended Stories

দিল্লি বিস্ফোরণে প্রশ্নের মুখে পর্যটকদের নিরাপত্তা! ব্রিটিশ নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
লন্ডনগামী ট্রেনে হঠাৎ ছুরি নিয়ে হামলা আততায়ীর! ১০ জনকে ছুরিকাঘাত; গ্রেফতার ২