১৩২ বছর ধরে ভগবান ব্রহ্মার নামে বিকোচ্ছে বিয়ার, ভুল শোধরানোর দাবিতে সোচ্চার ধর্মীয় জোট


হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতার একজন ব্রহ্মা

জগৎ সংসারের সৃষ্টিকর্তা তিনিই

ভগবান ব্রহ্মার নামেই ব্রাজিলে চলছে জনপ্রিয় বিয়ার

সম্প্রতি এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে একটি ধর্মীয় জোট

amartya lahiri | Published : Jul 15, 2020 9:21 AM IST / Updated: Jul 19 2020, 03:16 PM IST

হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতার একজন হলেন ব্রহ্মা। পুরান অনুসারে তিনি সৃষ্টিকর্তা, অর্থাৎ এই জগ সংসার সৃষ্টি হয়েছে তাঁর হাতেই। আর সেই ভগবান ব্রহ্মার নামেই ব্রাজিলে প্রায় দেড়শো বছর ধরে চলছে একটি জনপ্রিয় বিয়ার! সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ধর্মের একটি জোট, ওই বিয়ার প্রস্তুতকরী সংস্থাকে তাদের তৈরি বিয়ারের নাম থেকে এই হিন্দু দেবতার নাম সরিয়ে ফেলার দাবি তুলেছে। তবে বিয়ার নির্মাতা সংস্থার পাল্টা দাবি, তাঁদের বিয়ারের নামকরণ কোনও হিন্দু দেবতার নামে হয়নি, এটা পরিচয় বিভ্রান্তির একটা ঘটনা মাত্র।

এই ধর্মীয় জোট প্রতিষ্ঠানে রয়েছে খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু এবং জৈন ধর্মের প্রতিনিধিরা। তারা বেলজিয়ামের আনহিউসার-বুশ ইনবিভ এসএ / এনভি-র কাছে ব্রাজিলের এই জনপ্রিয় বিয়ার লাইনের নাম পরিবর্তনের দাবি তুলে বলেছে, হিন্দু দেবতাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা উচিত নয়।

আনহিউসার-বুশ ইনবিভ এসএ / এনভি-ই বিশ্বের বৃহত্তম মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাঁদের দাবি ওই ধর্মীয় জোটের প্রতিনিধিরা ভুল বুঝেছেন। তাঁদের পরিচয় বিভ্রান্তি হয়েছে। এর জন্য তাঁরা ব্রহ্মা লাইনের বিয়ারের ইতিহাস তুলে ধরেছেন।

এই লাইনের বিয়ারের বর্তমান মালিক  আনহিউসার-বুশ ইনবিভ এসএ / এনভি হলেও, এই বিয়ার ১৮৮৮ সালে প্রথম বাজারে এনেছিল ব্রাজিলের ব্রিউয়ারি সংস্থা 'সার্ভেজারিয়া ব্রহ্মা'। এই  'সার্ভেজারিয়া ব্রহ্মা'ই কিন্তু, বাডওয়াইজার, বাড লাইট, করোনা এবং স্টেলা আর্তোইস-এর মতো বিশ্বের প্রায় ৫০০টি বিয়ার প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ডের উৎপাদক। তবে বর্তমানে সংস্থাটির মালিকানা রয়েছে বেলজিয়ামের সংস্থাটির হাতে। আর 'সার্ভেজিয়া ব্রহ্মা' সংস্থার নাম থেকেই বহ্মা বিয়ারের নামকরণ। এই ব্রহ্মা বিয়ারের লাইনে বিক্রি হওয়া বিয়ারের মধ্যে রয়েছে একটি লেগার, একটি ডাবল মল্ট, একটি হুইট বিয়ার এবং একটি চকোলেট স্টাউট।

ওই ধর্মীয় জোট অবশ্য আনহিউসার-বুশ ইনবিভ এসএ / এনভি'র দাবি মানছে না। জোটের মুখপাত্র রাজন জেড মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ১৩২ বছর ধরে আমাদের হিন্দু ভাই-বোনদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে তুচ্ছ যে ভুল চলে আসছে তা শুধরে নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

 

Share this article
click me!