উইঘুরে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারই চিনের জনসংখ্যার হার কমিয়ে দিল, প্রশ্ন অস্ট্রেলিয়ার

  • চিনের জনসংখ্যার হার কমে গেছে 
  • অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক
  • উইঘুরে জনসংখ্যার হার কমেছে 
  • অভিযোগ উড়িয়ে দিল চিন 

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে চিনের আদমশুমারির রিপোর্ট। এখনও বিশ্বের জনবহুল দেশের তকমা রয়েছে চিনের মাথায়। কিন্তু রিপোর্টে দেখা গেছে কমেছ চেনের জনসংখ্যার হার। চিনের জনসংখ্যার হার কমে যাওয়া নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পলিসির রিপোর্টে চিনের আদমশুমারির সরকারি পরিসংখ্যনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, উইঘুরে জন্মের হারে ব্যপকভাবে কমে গেছে। আর তারই প্রভাব পড়েছে চিনের জনসংখ্যার ওপর। যদিও চিন অস্ট্রেলিয়ার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি তথ্য বিকৃত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রী। 

Latest Videos

অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পলিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে জিনজিংয়াং-এ আচমকাই ২০১৭ সাল থেকে কমে গেছে জন্মের হার। এই তথ্যই উঠে এসেছে চিনের আদমশুমারিতে। অস্ট্রেলিয়ান রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে  জন্মের হার নজিরবিহীনভাবে কমে গেছে বিগত বছরগুলির তুলনায়। যা অবাক করার মতই বিষয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। জিনজিয়াংএ জন্মের হার ২০১৭ থেকে ২০১৯ এর মধ্যেই কমেছে। এই প্রদেশের সবথেকে বেশে জনসংখ্যা উইঘুর। এই মূলত সংখ্যালঘু অধিষ্যুত এলাকা। আরও খুলে বললে বলা হয় এটি মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। অস্ট্রেলিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যের তুলনায় অন্যান্য এলাকার এখানেই জন্মের হার আগে বেশি ছিল।  

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এই রিপোর্টের কড়া উত্তর দিয়েছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রী  জানিয়েছেন চিনের আদমশুমারির রিপোর্ট বিকৃত করা হয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণেই জিনজিংয়াং ও ইউঘুরের জনসংখ্যা ২০১০-২০১৮ সালের মধ্যে তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এটি কোনও একক বা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়নি। সর্বক্ষেত্রেই একই একই জিনিস দেখা গেছে। 

চিনের পশ্চিম দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হল জিনজিয়াং। এটি তিব্বত লাগোয়া। উইঘুরে সংখ্যালঘুদের আটক করে রাখা ও অত্যাচারের অভিযোগ ক্রমাগত সামনে আসে। সেখানে একাধিক শিবির ছিল। তাতে আটকে রেখে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ।  আর চিন তা অস্বীকার করা থেকে শুরু করে আড়াল করতে কোনও রকম কুসুর করে না। উইঘুরের একাধিক শিবির রয়েছে। আর সেখানে ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। উইঘুরদের চিকিৎসা নিয়ে সরব হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ব্রিটেন। কিন্তু চিন তা নিয়ে কোনও রকম আগ্রহ দেখায়নি। উইঘুরকে সর্বদা বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখতে চায়। এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'৩০ সেকেন্ডে যাদবপুর দখল করছিল মদন, এখন নিজের এলাকা দখল হয়ে যাচ্ছে', চরম কটাক্ষ অর্জুন সিংয়ের
IND vs NZ Final : দুবাইয়ের ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ড : শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দুই দল | CT 2025 Final
'তৃণমূলের উত্থান Kolkata থেকে, পচনও শুরু কলকাতা থেকেই' অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ | Adhir Chowdhury | TMC
যাদবপুরে নৈরাজ্য! ব্রাত্যদের গ্রেফতারির দাবী জানিয়ে শুভেন্দুদের ধিক্কার মিছিল | Suvendu Adhikari
'ম্যায় হু না' দিল্লির মহিলাদের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা | Rekha Gupta Delhi CM