১৯৯৭ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের কোনও কর্মকর্তা ২০২১ সাল পর্যন্ত তাইওয়ানে পা রাখেননি। সেখানেই ২৫ বছর পর পা রেখে অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নজির গড়লেন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি শেষ পর্যন্ত তাইওয়ানে পৌঁছেছেন চিনের হুমকি অগ্রাহ্য করেই। গত ২৫ বছরে চিনের কাছে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত দ্বীপটিতে সফর করা প্রথম মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিই।
মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের উদ্দেশ্যে পেলোসি-সহ রওনা দেন আমেরিকার কংগ্রেসের সদস্যেরা। জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত ছিল আমেরিকার বিমানবাহিনীর মোট ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন।
পেলোসি নিজের চলতি এশিয়া সফরের মধ্যে তাইওয়ান যাবেন কি না, সেটা আগে থেকে স্পষ্ট না থাকলেও, মঙ্গলবার স্থানীয় সময়ে রাত ১১টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছোন। তাঁর সফর নিয়ে চিনের ক্ষোভের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনী গোটা অঞ্চল জুড়ে মোট ৪টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে রেখেছে।
তাইওয়ানে গেলে ন্যান্সি পেলোসির খারাপ পরিণতির হুমকি দিয়ে রেখেছিল চিন। এ অঞ্চলে পেলোসির সফর একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে।
কয়েক দিন আগে মার্কিন নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন যে, ক্যারিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান দক্ষিণ চিন সাগর পাড়ি দিয়ে বর্তমানে ফিলিপাইন সাগরে রয়েছে, যা রয়েছে তাইওয়ানের পূর্ব দিকে। জাপানভিত্তিক ইউএসএস রিগ্যান গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম এবং ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হিগিন্স নিয়ে কাজ করছে।
এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আরও জানান, ‘এগুলো যেকোনও পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম। তবে এটি স্বাভাবিক, নিয়মিত মোতায়েন।’ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সফরের বিরুদ্ধে চিনা হুঁশিয়ারিতেও তারা ভীত নয়। যদিও, অতি সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করেছিলেন, সশস্ত্র বাহিনী মনে করে, এই সময়ে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান যাওয়া সুবুদ্ধির কাজ হবে না।
১৯৯৭ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের কোনও কর্মকর্তা ২০২১ সাল পর্যন্ত তাইওয়ানে পা রাখেননি। সেখানেই ২৫ বছর পর পা রেখে অদম্য সাহসের পরিচয় দিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নজির গড়লেন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।