মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় সাফল্য, ড্রোন হামলায় ওসামার পর এবার নিহত আল-কায়েদা প্রধান জাওয়াহিরি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার জাওয়াহিরির মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই জঙ্গি নেতার মাথার দাম ছিল ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জানা গেছে যে তিনি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সাথেও জড়িত ছিলেন, যেখানে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা যান। 

Parna Sengupta | Published : Aug 2, 2022 2:15 AM IST / Updated: Aug 02 2022, 10:09 AM IST

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিশ্ব আরও একটি সাফল্য পেল বলে মনে হচ্ছে। আমেরিকার ড্রোন হামলায় আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশেষ বিষয় হল ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার পর এই ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার জাওয়াহিরির মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই জঙ্গি নেতার মাথার দাম ছিল ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জানা গেছে যে তিনি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার সাথেও জড়িত ছিলেন, যেখানে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা যান। 

বিশেষ সূত্রে খবর নাম না প্রকাশ করার শর্তে মার্কিন আধিকারিকরা বলেছেন, রবিবার সকালে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস থেকে তার ভাষণে বাইডেন বলেন, "এতদিনে  ন্যায়বিচার হয়েছে।" ড্রোন হামলায় যে জাওয়াহিরিরই মৃত্যু হয়েছে, তা সোমবার নিশ্চিত করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। 

সম্প্রতি, জাওয়াহিরির মৃত্যুর গুজব বেশ কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছিল। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলেও শোনাগিয়েছিল। এখন এই জঙ্গিনেতার মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে যে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পরে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল কিনা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালিবান আধিকারিকরা কাবুল শহরে তার উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন।

জাওয়াহিরি ৯/১১ হামলায় যুক্ত ছিল

মিশরীয় ডাক্তার এবং সার্জন জাওয়াহিরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের হামলায় চারটি বিমান হাইজ্যাক করতে সাহায্য করেছিল। এর মধ্যে দুটি বিমান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের (ডব্লিউটিসি) দুটি টাওয়ারের ধাক্কা মারে। তৃতীয় বিমানটি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিস পেন্টাগনের সঙ্গে ধাক্কা খায়। চতুর্থ বিমানটি শ্যাঙ্কভিলের একটি এলাকায় ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। 

১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর মার্কিন বাহিনী ২০০১ সালের শেষের দিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের পতন ঘটালে ওসামা বিন লাদেন এবং জাওয়াহিরি উভয়েই পালিয়ে যান। পরে ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন মার্কিন বাহিনীর হাতে বিন লাদেন নিহত হন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের এক অফিসার জানিয়েছেন, রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলা চালায় সিআইএ। প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। অপারেশনটি সম্পূর্ণ সফল হয় এবং কোন সাধারণ মানুষ এই হামলায় মারা যাননি। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আরও পডুনঃ

কোটি কোটি টাকার মালিক সাবিত্রী জিন্দাল এশিয়ার সবথেকে ধনী মহিলা, হারিয়ে দিলেন চিনা কোটিপতিকে

'ধর্ম আর আদর্শের নামে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে', ধর্মীয় আলোচনা সভায় গিয়ে উদ্বেগ অজিত ডোভালের

কচুপাতার মস্তগুণ, বর্ষাকালে রোজ পাতে রাখলেই তফাতটা বুঝতে পারবেন

Share this article
click me!