গিনেস রেকর্ডে নাম তুলে ফের নজির চিনের, পর্যটকদের জন্য খুলল ১,৭২৫ ফুট দীর্ঘ কাঁচের সেতু, দেখুন ভিডিও

  • ফের নয়া রেকর্ড তৈরি কর চিন
  • উদ্বোধন হল বিশ্বের দীর্ঘতম কাঁচের সেতুর
  • সেই সেতুর উপর চলল এসইউভি গাড়ি
  • আপিনও সাক্ষী হোন সেই রোমহর্ষক মুহুর্তের

Asianet News Bangla | Published : Jul 23, 2020 12:21 PM IST / Updated: Jul 23 2020, 05:56 PM IST

কাঁচের সেতু তৈরির ব্যাপারে নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙাটাই নিয়ম করে নিয়েছে চিন। দেশের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত গুয়াংডংয়ের নবনির্মিত কাঁচেরু সেতুটি এবার পর্যটকেদর জন্য খুবে দিল চিন। ৫২৬ মিটার লম্বা এই সেতুটি বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম কাঁচের সেতুর মর্যাদা পাচ্ছে। পাশাপাশি  গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নিজের নাম তুলে নিয়েছে। 

আরও পড়ুন: একবছর ধরে অধস্তন সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া, ক্লিনটন- মনিকার সম্পর্কের কথা মনে করালেন কিউই মন্ত্রী

পুরো কাঁচের তৈরি এই ব্রিজটি আকারে বিশাল। লিয়াংজিয়াং নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি থেকে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যও অত্যন্ত মনোরল লাগে। গত ১৮ জুলাই সেতুটি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই পর্যটকেদর ভিড় লেগে রয়েছে এখানে। 

 

 

এই ব্রিজের চারপাশে কেবল বিপজ্জনক পাহাড়ি নয় ৩০০ মিটার গভীর খাতও রয়েছে। যেকোন পর্যটক এই সেতুতে উঠলে সেই বিপজ্জনক খাত দেখলে তাঁর বুক কেঁপে উঠবেই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিনিধিরা এটিকে পরীক্ষা করার পর  আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন এই সেতুটি এখন বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। জানা যাচ্ছে কাঁচের সেতুটির মাঝে  একসঙ্গে ৫০০  জন লোক দাঁড়াতে পারবেন।

আরও পড়ুন: পুরুষশাসিত দেশে মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বেশি, কোন মন্ত্রে মারণ ভাইরাসকে জয় করছেন মহিলা প্রধানরা

পথচারীরাই কেবল ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেতুটির শক্তি পরীক্ষা করতে প্রথমদিন এসইউভি গাড়ি নিয়ে এসেও চালান হয় এর উপরে। পাশাপাশি ব্রিজটি সুরক্ষিত কিনা তা যাচাই করতে একদল পর্যটক নেচে-কুঁদে দেখেন। হাতুড়ি মেরে সেতুর কাঁচ পরীক্ষাও হয়। তবে কেবল পথচারীদের চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হলেও ভবিষতে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মত অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই সেতু বানাতে ৪.৫ সেন্টিমিটার পুরু কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রিজটি একসঙ্গে ২,৬০০ জনকে বহন করতে পারে। 

গুয়াংডংয়ের আগেও বিশ্বের বিপজ্জনক কাঁচের সেতুটি ছিল জিয়াংশু প্রদেশে। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটার উঁচুতে নির্মিত ছিল। যার দুই প্রান্তেই রয়েছে খাড়া পাহাড়। 


 

Share this article
click me!