ডিসেম্বরে কি চিনা প্রতিষেধকে করোনা মুক্তি, অক্সফোর্ডের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে সিনোফার্মা

সিনোফার্মার প্রতিষধক হিউম্যান ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে
প্রত্যাশারা আগেই বাজারে আসতে পারে
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বছর শেষেই আসবে প্রতিষেধক 
তিন মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে পরীক্ষার কাজ 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 23, 2020 10:57 AM IST / Updated: Jul 23 2020, 04:37 PM IST

চলতি বছরের শুরু থেকেই ককোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর আকার নিয়েছিল। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। মারণ এই ছোঁয়াচে রোগের কারণে প্রায় স্তব্ধ বিশ্ব অর্থনীতি। কমবেশি অধিকাংশ দেশেই প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিনসহ একাধিক দেশই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক চলতি বছর শেষেই বাজারে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষক ও প্রস্তুতকারকরা। ঠিক তেমনই ভাবে আশা প্রকাশ করেছে চিনের করোনা প্রতিষেকের গবেষণায় যুক্ত সিনহোফার্মা। 

চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি তথ্যে বলা হয়েছে চলতি বছর শেষের দিকেই এই সংস্থার তৈরি প্রতিষেধক জনগণের ব্যবহারের জন্য বাজারে আসতে পারে।  আগে সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের গোড়ার দিকে। কিন্তু চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে। প্রত্যাশার আগেই বাজারে আসবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। 


সিনোফার্মার চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন বলেছেন, সংস্থাটি তিন মাসের মধ্যেই সর্বশেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়েলের কাজ শেষ করতে পারবে। 

চিনের ন্যাশানাল বায়োটেক গ্রুপের অধীনে কাজ করে সিনোফার্মা। করোনাভাইরাসের দুটি প্রতিষেধক আবিষ্কারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল ২০২১ সালের মধ্যে যদি প্রতিষেধকের খোঁজ না পাওয়া যায় তাহলে আবারও বিপর্যের মুখোমুখি হতে হবে চিনাদের। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। 

চিন বিশ্বজুড়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি প্রতিবন্দকতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদের। বর্তমান পরিস্থিতিতে সব প্রতিবন্দকতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। আরব আমিরসাহি, বাংলাদেশসহ একাধিক দেশেই চলছে হিউম্য়ান ট্রায়াল। দুটি প্রতিষেকই ট্রেইন তৃতীয় পর্যায় উন্নীত হয়েছে। 

একই রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিনা ফার্মা সিনোভাক বায়োটেক দ্বারা তৈরি প্রতিষেধক ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ে হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। সেখানে বহু মানুষকেই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। 

ক্যানসিনো বায়োলজিক ইন এবং চিনা সেনার সামরিক গবেষণা ইউনিটও একটি প্রতিষেধ তৈরি করেছে। সেটিও চিনের বাইরে তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য  অপেক্ষা করে রয়েছে। 

রোমাঞ্চে ভরা সোনু পঞ্জাবনের ব্যক্তিগত জীবন, দুই স্বামীর মৃত্যু পুলিশের এনকাউন্টার

সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি শচীন পাইলট শিবিরের, গণতন্ত্রে বিরুদ্ধ কণ্ঠস্বর রোধ করা যায় না বলল আদালত ..

আরও একধাপ সাফল্যের পথে স্পাইসজেট, ভারতের সঙ্গে মার্কিন আকাশেও উড়বে সংস্থার বিমান ...

Share this article
click me!