
রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই প্রথম শি জিংপিং-এর তিব্বত সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শি। কিন্তু এই প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি তিব্বত গেলেন তিনি। প্রথমে তিনি ন্যয়ংচি শহরে পৌঁছেছেন। সিচুয়ান প্রদেশের পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে রেলপথে করেই তিনি তিব্বতে যান। লাসায় একটি মঠ আর পোটালা প্রসাদ পরিদর্শন করেন তিনি। শি-র এই তিব্বত সফর ভারতের কাছেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
Tokyo Olympics 2021: টিভির সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শুভেচ্ছা ভারতীয় দলকে
ভারত শি-র এই সফরকে কৌশলগত প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছে। সিনহুয়া সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট তিব্বতের গ্রামীণ এলাকার সুরক্ষাও পরিদর্শন করবেন। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সংঘাত আর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার পরেই চিনা প্রেসিডেন্টের এই সফর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। চিনের পাশাপাশি তিব্বতের জাতীয় নেতা হিসেবে তুলে ধরেই শি-র এই সফর বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।চিনের স্থানীয় প্রাদেশিক কর্তারা তিব্বতের বাসিন্দাদের 'মহান মাতৃভূমি চিনের জনগণ' হিসেবেই তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছেন। চিনা সংস্কৃতি, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রেরখবর। শিও জানিয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে অনুসরণ করার মাধ্যমেই চিনের পুনর্জাগরণ হয়েছে। তিব্বতের রাজধানী লাসায় শি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন।
'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রদ্রোহী', পেগাসাস ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর নিশানায় অমিত শাহও
শি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মগুরু দালাই লামার ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদটিও পরিদর্শন করে। বর্তমানে দালাই লামা নির্বাশিত হয়ে ভারতে রয়েছেন। যদিও দীর্ঘ দিন ধরেই তিব্বতের এই ধর্মগুরুকে চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা দিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী চিন চলতি বছর কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষের অনুষ্ঠান পালন করছে। আগামী কর্মসূচি হিসেবে তিব্বতের ওপর নিয়ন্ত্রণকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিব্বতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়তে ট্রেন চালু করেছে। তিব্বতি তরুণদের চিনা সেনাবাহিনীতে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। তিব্বতের ওপর কোনও না কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে চিন।
পাক মদতে হত্যালীলায় মেতে তালিবানরা, কান্দাহারেই হত্যা করেছে ১০০ জনকে
বেজিং ১৯৫০ সালে তিব্বতে সেনা পাঠিয়েছিল। তারপর শান্তিপূর্ণ মুক্তির কথাও বলে। কিন্তু তিব্বতে প্রচুর পরিমাণে সেনাও মোতায়েন রাখে। পিকিংএর অধ্যাপক ইয়াং চাওহুই জানিয়েছেন চিনা পুলিশের সঙ্গে তিব্বতি ভিক্ষুদের সম্পর্ক ২০০৮ সালে অবনতি হয়। তারপর তা আর উন্নত করা চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে তিব্বত নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় বেজিং। তবে তিব্বতের আবহাওয়া আর অতি উচ্চতা অনেক সময়ই খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না সাধারণ চিনারা। সেই কারণেই রাষ্ট্রপ্রধানরা সচারচর কমই যান তিব্বতে।