গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয়রা প্রথমে চিনা সেনাদের দেখতে পেয়েছিল। তারাই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত কিছু জানিয়েছিল। পরবর্তীকালে এই এলাকায় টহল দেয় ভারতীয় সেনা জওয়ান ও ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী।
আবারও চিনা সেনাদের (Chinese Soilder) নজর পড়েছে ভারতের উত্তর ভূখণ্ডের দিকে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা (LAC) থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরের বাতাস ভারী হচ্ছে চিনা সেনার বুটের আওয়াজে। গোয়েন্দা রিপোর্টে তেমনই দাবি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে গত মাসে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির (PLA) শতাধিক সদস্য ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অবস্থান করেছিল। সেখানে তারা ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে। পাশাপাশি সামরিক অবকাঠামো তৈরি করেছে। সর্বেশেষ পাওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে চিনা সেনারা উত্তরে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থায় রয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে তারা ৫৫টি ঘোড়া নিয়ে এসেছে। সূত্রের খবর চিনা সেনার একটি দল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। ভারতীয়ে সেনা যাওয়ার পরেও প্রায় ঘণ্টাতিনেক সেখানে অবস্থান করে ছিল চিনা সেনা। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী আবারও সীমান্ত সমস্যা করতে চাইছে চিন।
গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থানীয়রা প্রথমে চিনা সেনাদের দেখতে পেয়েছিল। তারাই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত কিছু জানিয়েছিল। পরবর্তীকালে এই এলাকায় টহল দেয় ভারতীয় সেনা জওয়ান ও ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বাহিনী। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে চিনা সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবার প্রচুর পরিমাণে আবাসন তৈরি করছে। নতুন করে এয়ারস্ট্রিপ, হেলিপ্যাট তৈরি হয়েছে। এক দিকে লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য ভারত ও চিন দুটি দেশই সমানে আলোচনার টেবিলে বসছে তখন চিনা সেনার এই আচরণ আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে আগেও বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় চিনা সেনা মহড়া দিয়েছে।
Cola Scam: আদালতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে, নির্দেশ দিল্লির আদালতের
Video: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী, কী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
চিনের থেকে সাবধান, গোটা বিশ্বেই ঋণের ফাঁদ পেতে রেখেছে বেজিং
সূত্রের খবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অনুযায়ী চিনা সেনা কমপক্ষে আটটি ফরোয়ার্ড লোকেশনে উচ্চতর এলাকায় মডিউলার কন্টেইটার দিয়ে বাসস্থান তৈরি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে সামীন্তে এস ৪০০০ ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি চিনা প্রশাসন। সীমান্তে সেনা বাড়ানোর বিষয়ে সবকিছুই অস্বীকার করেছে। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস উল্টে ভারতের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে।