করোনা সংক্রমণ থেকে কি নিরাপদ আপনার সন্তান, কী বলছে নতুন গবেষণা

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নতুন গবেষণা
  • অধিকাংশ শিশুই উপসর্গ বিহীন বলে দাবি 
  • শিশুদের থেকে সংক্রনণের আশঙ্কা কম 
  • তবে সাবধানে থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক শিশুর কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় না। কিন্তু তারপরেই শিশুটি মারাত্মক ছোঁয়াছে রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শিশুদের চিকিৎসায় গাফিলতি করা ঠিক নয়। অনেকটা তেমনই দাবি করছে একদল বিশেষজ্ঞ। কানাডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক তৃতীয়াংশ শিশুর মধ্যেই এই রোগের কোনও উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় না। ওই শিশুদের উপসর্গ বিহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে শিশুরা বড়দের তুলনা এই রোগ ছড়িয়ে দিতে খুব একটা সক্ষম নয় বলেও দাবি করা হয়েছে। 

Latest Videos

গবেষণাপত্রটি লিখেছেন কানাডার আলর্বাট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিনলে ম্যাকেলস্টার। তিনি বলেছেন বিশ্বে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা জানেনই না তাঁরা এই মারাত্মক রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের থেকেই সংক্রমণ বেশি মাত্রা ছড়িয়ে পড়ছে বলেও মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁরা প্রায় ২৩৬৩ জন শিশুর ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সমীক্ষার সময়কাল ছিল করোনা ঢেউনের প্রথম দিক অর্থাৎ মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। অধ্যাপক জানিয়েছেন, ২৪৬৩টি শিশুর মধ্যে সেইসময় ১৯৮৭টি শিশু ছিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু তারমধ্যে ৭১৪ জন অর্থাৎ ৩৬ শতাংশই ছিল উপসর্গবিহিন রোগী। আর সেই কারণেই তিনি দাবি করেছেন স্থানীয় স্কুলগুলি যে খ্রিসমাস পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিয়ে তা একেবারে যথাযথ। তিনি আরও বলেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। তিনি আরও বলেন যেসময় তাঁরা এই সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিলেন সেই সময় সেটি ছিল হিমশৈলের একটি অংশ।  যাঁদের অধিকাংশ করোনা পজেটিভ ছিল।তিনি আরও জানিয়েছেন অ্যালবার্টা প্রদেশে প্রতিদিনই ১২০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে বিচার আর বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল অধিকাংশই জানতেন না যে তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সেইসব উপসর্গবিহিনী মানুষদের মধ্যেই সংক্রমণ বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ছে বলেও তাঁর বিশ্বাস স্থির ছিল। 

চিনা ড্রোনই বড় ভরসা পাক জঙ্গিদের, শীতকালে ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে আরও এক ঘূর্ণিঝড়, মৌসম ভবন জানাল ঝড়ের গতিপথ ...

বিশেষজ্ঞদলটির মতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সবথেকে সাধারণ লক্ষণ - কাশি, নাক জ্বালা, গলা ব্যাথা এই জাতীয় সমস্থা দেখা গেছে মাত্র ১৬ শতাংশের মধ্যে। তিনি আরও বলেছেন শিশুরা বেশ কয়েকটি ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তাই তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। তবে তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আশঙ্কা খুব কম। কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিশুরা নিরাপদ নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস হয়ে গেলে, মাথা যন্ত্রণা, জ্বর, বমি বমিভাব  দেখা দিলে, গলা ব্যাথা বা নাক সরসর করলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে গবেষকরা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ