দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই। প্রথম থেকেই এই দাবি করে আসছেন কিম জং উন। কিন্তু তারপরেও রীতিমত কঠোর লকডাউন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়েই উত্তর কোরিয়া স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন দেশের মানুষকে খাবারের ঘাটতি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জনিত লকডাউন কমানো আর খাবারের ঘাটতি মেটাতে আলোচনায় বসছেন। রাজনৈতিক সম্মেলনও শুরু করেছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশের সংকট কাটাতে কীভাবে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিত মোকাবিলা রা হবে তানিয়ে আলোচনা হবে। যদিও প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কিম। পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জারি রয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। করোনাকালে বন্ধ রয়েছে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ। আর সেই কারণেই আর্থিক সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া তেমনই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
'সব সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছি', ফ্ল্যাট নিয়ে বিবাদের মধ্যেই ঘোষণা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ... R
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন কিম জং উন। কিন্তু দুবছরের মধ্যেই তা ভেস্তে যায়। তারপর আবার নিজের ছন্দে ফিরে যান কিম। একের পর এক পরমাণু পরীক্ষা ররে ঘুম ছুটিয়ে দেন আমেরিকা ও প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার। এই অবস্থায় আরও একবার কী কিম প্রতিপক্ষ দুই দেশের সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলতে চাইছেন? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি কিম।
সত্যি কি কোভ্যাক্সিনে রয়েছে বাছুরের সিরাম, জানুন কোভিড টিকা নিয়ে কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক .
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখনই ব্যাপক অনাহার বা অস্থিরতা কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন একটি বিশাল ঝড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশ। খাদার আর বাণিজ্যে রীতিমত সংকট আসতে চলেছে। যা দেশের মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার সূত্রের খবর, উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ১০ মিলিয়ন খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সূত্রের খবর মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও দেশের কৃষিক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করার বিষয় একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন কিম। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
করোনাক্লান্ত দেশে শিশুদের জন্য স্বস্তি, কোভিডের দুটি তরঙ্গে ১২ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছে
যদিও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে দেশে করোনা মহামারি প্রবেশ করতে না একটি নিখুঁত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু সেই কারণেই দেশটিকে আর্থিক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও উত্তর কোরিয়ার এই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে দেশটির। দেশটির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নত নয়। তাই দেশে করোনা সংক্রমণ মহামারির আকার নেয়নি- এটা যুক্তিযুক্ত নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।