পদোন্নতি হল করোনা ভাইরাসের। মহমারি বা এপিডেমিক থেকে একেবারে বৈশ্বিক মহামারি বা প্যানডেমিকের আখ্যা দেওয়া হল এই মারণ ভাইরাসকে। গত বছর ডিসম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস।
করোনাভাইরাস ইহানের গণ্ডি পেরিয়ে চীন, সেখান থেকে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। প্যানডেমিক শব্দটা তখনি গায়ে লেগে গিয়েছিল এই মারণ ভাইরাসের। যাকে বিশ্বজুড়ে মহামারী বলে বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
আরও পড়ুন: অন্তত ১২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা, শেষপর্যন্ত 'গ্লোবাল প্যানডেমিক' ঘোষণা 'হু'র
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র প্রধান ডক্টর টেড্রোস অ্যাধহানম গেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন গত দুই সপ্তাহে এই ভাইরাস বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরেই বিশ্বজুড়ে করোনার বিস্তারকে প্যানডেমিক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। ইংরেজিতে 'প্যানডেমিক' কথার অর্থ মহামারি। তেমনি 'এপিডেমিক' বলতেও মহামারি বোঝায়। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে নমহামারি হিসেবে 'এপিডেমিক' শব্দটাই বেশি পরিচিত। তবে এই দুই মহামারির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।
আরও পড়ুুন: মুম্বইতে এবার করোনার থাবা, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৮, পিছোতে পারে আইপিএল ম্যাচ
একসময় ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিশ্বের অনেক দেশেই কলেরা, গুটিবসন্ত, প্লেগের মতো প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করত। এইসব রোগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। পরবর্তী সময়ে গবেষকরা এই কোগগুলির প্রতিষেধক টিকা ও ওষুধ আবিষ্কার করেন। ধীরে ধীরে এদের প্রাদুর্ভাবাও কমতে থাকে। তাই এগুলি একসময় মহামারী হিসাবে পরিচিত ছিল। তবে কলেরা, বসন্ত, প্লেগ দেখা দিত নির্দিষ্ট কোনোও ভৌগলিক এলাকায়। একাধিক গ্রাম ও অঞ্চলে। যদিও এর গণ্ডী ছিল একটি দেশের মধ্যে। তাই এগুলো পরিচিত ছিল এপিডেমিক হিসাবে।
কিন্তু করোনা ভাইরাস কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশে আটকে নেই। বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে কোভিড ১৯ ভাইরাস। এর দৌরাত্ম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাই কলেরা বা বসন্ত ভাইরাসের চেয়ে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা অনেক বেশি। সেকারণে এটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি বা প্যানডেমিক ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু।