ভাইরাল তিন চোখের 'অলৌকিক শিশু'র ভিডিও, জেনেটিক রোগ না ফলে গেল ব্রহ্মগুরুর ভবিষ্যদ্বাণী


তিন চোখের অলৌকিক শিশু
দাবি করা হচ্ছে এক ভারতীয় ঋষি এর কথা বলে গিয়েছিলেন

কেউ কেউ বলছেন শিশুটি জেনেটিক রোগের শিকার

এই ভাইরহাল ভিডিওর পিছনে লুকিয়ে কোন সত্যি

Asianet News Bangla | Published : Jul 15, 2020 1:08 PM IST / Updated: Jul 19 2020, 03:18 PM IST

তিন চোখের এক 'অলৌকিক শিশু'র একটি অতিপ্রাকৃত ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার ইউটিউব - সর্বত্র এই অদ্ভূত ভিডিওটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বহু নেটিজেন এই ভিডিওটি পোস্ট করছেন, শেয়ার করছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, প্রখ্যাত ভারতীয় ঋষি ব্রহ্মগুরুর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে জার্মানীতে তিন চোখ নিয়ে এই শিশুটি জন্মেছে। সাধারণত, এই জাতীয় উদ্ভট প্রকৃতির ভিডিও দেখে নেটিজেনরা 'ভুয়ো ভিডিও' বলে এড়িয়ে যান। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে 'ঋষি ব্রহ্মগুরু'র দাবিটি জুড়ে দেওয়ায় আলাদা মাত্রা পেয়েছে বিষয়টি। কারণ এর আগে এই ঋষিই করোনাভাইরাস-এর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল।  

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শিশুটির শরীরের বাকি সব কিছু স্বাভাবিক, কিন্তু, কপালে একটি অতিরিক্ত চোখ রয়েছে। পিছন থেকে এক দম্পতির কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, আর শিশুটি তার তিনটি চোখ দিয়েই তাদের দেখছে। একটি ভিডিও আবার দাবি করেছে এটি 'ক্রেনিওফেসিয়াল সদৃশ'-এর ঘটনা। 'ক্রেনিওফেসিয়াল সদৃশ' একটি জিনগত ব্যাধি, যেখানে কোনও শিশুর কপালে তার মুখের বেশ কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নকল তৈরি হয়। এখন প্রশ্ন হল সত্যিই কি ব্রহ্মগুরুর কথা সত্যি করে তিনটি চোখ নিয়ে জন্মেছে শিশুটি? নাকি এই বিরল জিনগত রোগে আক্রান্ত শিশুটি?

দেখে নেওয়া যাক ভাইরাল ভিডিওটি -

এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে জার্মানিতে সম্প্রতি এইরকম কোনও শিশুর জন্মের বিষয়ে কোনও সংবাদ প্রতিবেদন মেলেনি। এই ঘটনা এতটাই চমকে দেওয়ার মতো, যে এই বিষয়টি সত্যি হলে তা নিয়ে অবশ্যই সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি হত। অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এই ভিডিওটি প্রথম ইন্টারনেটে এসেছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু, সেইসময়ও এইরকম কোনও শিশুর জন্মের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।

এরপর এশিয়ানেট নিউজ বাংলার ভিডিও এডিটরের সহায়তা নেওয়া হয়, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই-এর জন্য। আর সেখানেই ধরা পড়ে যায়, ভিডিওটি একেবারেই নকল, এডিটিং সফটওয়ার-এর কারিকুরিতে তৈরি করা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শিশুটির বাম চোখ এবং কপালে থাকা চোখদুটি একইসময়ে একই দিকে ঘুরছে। আরও বিশদে যাচাই-এর পর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, শিশুটির বাম চোখই এডিট করে তার কপালে বসানো হয়েছে কম্পিউটার সফটওয়ার ব্যবহার করে।

অর্থাৎ, ভিডিওটি এবং তার সঙ্গে করা দাবি, সবটাই ভুয়ো।   

 

Share this article
click me!