আফগানিস্তান থেকে তাজিকিস্তান হয়ে ওমানে আশ্রয় নিয়েছেন আশরাফ ঘানি। সূত্রের খবর আমেরিকা চলে যেতে চাইছেন তিনি।
রবিবার তালিবানরা কাবুলের দখল নেয়। তারপর থেকেই বেপাত্তা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। কোথায় গেছেন তিনি? তাঁর বেপাত্তা হওয়ার ঘটনায় জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস থেকে জানান হয়েছে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। তবে যাওয়ার আগে তোড়া তোড়া টাকা নিজের সঙ্গে নিয়ে গেছেন। চারটি গাড়ি আর একটি হেলিকপ্টারে নোট বোঝাই করেই দেশে ছেড়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি নাকি তাঁর জমাপুঁজি পুরোটা নিয়ে যেতে পারেননি।
সূত্রের খবর গাড়িতে করেই সড়ক পথে লোকচক্ষুর অন্তরালে দেশ ছেড়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি। তিনি তাজিকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাজিকিস্তান তাঁকে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে। তারপরই ওমানের পথে রওনা দেন তিনি। বর্তমানে তিনি ওমানে রয়েছেন। রবিবার তালিবানরা কাবুলে ঢোকার পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ঘানি। অন্যদিকে তাজিকিস্তানে একটি আফগান সেনা বাহিনীর বিমান ভেঙে পড়ে। সেই বিমানে ৮৪ জন জওয়ান ছিল। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তালিবানদের হাত থেকে মুক্তিপেতে হিন্দু-শিখদের সাহায্য, সংখ্যালঘু আফগানদের পাশে থাকবে ভারত
যাইহোক প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানির সঙ্গে রয়েছে আফগান নেতা হামদুল্লাহ মোহিব। তিনি আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও ছিলেন। সপ্তাহ দুই আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। মহোবি ওবামার আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন।
Afghanistan: কাবুলে প্রাণ হাতে দেশে ফেরার অপেক্ষা ২০০ ভারতীয়র, আতঙ্কের প্রহর গুণছে তারা
তবে দেশ ছাড়ার আগে আশরাফ ঘানি জানিয়েছেন তিনি রক্তপাত এড়াতে দেশ চলে চলে যাচ্ছেন। তার চলে যাওয়ার পরেই তালিবানরা ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইতিটানে। বর্তমানে তালিবানদের দখলে গোটা আফগানিস্তান। একটি সূত্র বলছে আশরাফ ঘানি ওমান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সেই রকমই কথাবার্তা চলছে।
'শক্তিশালী ভারত গঠনে উদ্যোগী', অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে
আফগানিস্তানের আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার তৈরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তালিবানরা এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি। তবে তালিবাননেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কোনও রকম রক্তক্ষরণ চায় না। নাগরিক অধিকার বজায় রাখার ওপরেও তারা জোর দেবে। তবে আফগানিস্তানে কর্মরত বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলি বলছে এবার তালিবানরা কিছুটা হলেও অন্যচেহারায় এসেছে। আগের মত ততটা হিংসাত্মক নয়। বরঞ্চ কিছুটা হলেও নম্র। সূত্রের খবর তালিবানরাই আশরাফ ঘানিকে দেশ ছেড়ে পালানোর পথ করে দিয়েছে।