কেটে ফেলেছেন দুই কান, এবার পালা নাকের ডগার - লাখ লাখ টাকা খরচা করে কেন এমন করছেন

উল্কি বা ট্যাটু অনেকেই করেন

শরীর নিখুঁত করে তুলতে ইমপ্লান্ট-ও করান অনেকে

কিন্তু এই দুই বিষয়কে কাজে লাগিয়ে কেউ যদি নিজের মুখকে খুলি করে তুলতে চান

দেখুন, ফলাফলটা কী দাঁড়ায়

 

amartya lahiri | Published : Aug 27, 2020 4:35 PM IST

উল্কি ট্যাটু আজকাল অনেকেই করে থাকেন। ঘাড়ে, হাতে বা পিঠে অনেকেরই ট্যাটু শোভা পায়। আবার অনেকে নিজের চেহারাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে করান অনেক রকম অস্ত্রোপচার। বলি নায়িকাদের তো অনেকেই শরীরের বিভিন্ন অংশ নিখুঁত করে তুলতে নানারকম প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে থাকেন। আর এই ট্যাটু আর প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজেকে কিম্ভূত কিমাকার বানিয়ে তোলার কথা যদি বলতে হয়, তবে বলতে হবে জার্মানির এক বাসিন্দার কথা। পছন্দমতো চেহারা পেতে কেউ কতদূর যেতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায় তাঁকে।

বরাবরই উল্কি বা ট্যাটু করানোয় আসক্তি রয়েছে তাঁর। পছন্দ করেন অন্যান্য বডি আর্ট-ও। গত বছর হঠাৎই তাঁর মাথায় চেপেছিল, তাঁর মুখটাকে মানুষের মাথার খুলির মতো করে তুলতে হবে। তাই সেইসময় তিনি তাঁর দুই কান কেটে ফেলেছিলেন। এছাড়া জার্মানির ফিনস্টারওয়াল্ডের এই বাসিন্দার কপাল এবং হাতের পিছনের রয়েছে ইমপ্লান্ট এবং তার মুখ-ও ট্যাটুতে ছাকা। এবার ৩৯ বছরের স্যান্ড্রো খুলি সদৃশ মুখ করে তোলার কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর নাকের ডগা কেটে ফেলবেন এবং চোখে উল্কি আঁকাবেন বলে ঠিক করেছেন।

তাঁর এই উদ্ভট শারীরিক পরিবর্তনের আগ্রহ প্রথম জেগেছিল ২০০৭ সালে। সেই সময় তিনি টিভিতে এক ব্যক্তিকে দেখেছিলেন যাঁর মাথায় কাঁটা ইমপ্লান্ট করা হয়েছিল। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত চেহারা পরিবর্তনের জন্য তিনি ৬০০০ ইউরো অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লক্ষ ৪২ হাজার টাকারও বেশি খরচ করেছেন।

তবে এত খরচাপাতি করে উল্টে তাঁর কর্মজীবন এবং প্রেমজীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রেমিকা তাঁকে ছেড়ে গিয়েছে। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন মনে করেন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ, পাগল। বিভিন্ন সংস্থা তাঁর অদ্ভূত চেহারার জন্যই তাঁকে কাজে নিতে চায়নি। তবে এতকিছুর পরও তিনি নিজের ইচ্ছেয় অদম্য। স্যান্ড্রো সাফ জানিয়েছেন, তিনি চান তাঁর চেহারা দেখে নয়, লোকেরা তার ব্যবহার আচরণ দেখে তাঁকে গ্রহণ করুক। তাই লোকে তাঁকে দেখে কী বললো, তাই নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান না তিনি।

 

Share this article
click me!