জলবায়ু পরিবর্তন চলছে দ্রুত গতিতে চলেছে। এর ফলে হিমবাহ গলতে শুরু করেছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। এর ফলে ভয়ানক এক পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবী। অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফ এই বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে দ্রুত গলতে শুরু করেছে। প্রায় ৫০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থার বিজ্ঞানীরা ১১ টি স্যাটেলাইটের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই বিষয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছেন। আর এই সমীক্ষার ফলেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বিষয়। যা শুনলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বে আপনারও। গবেষকদের মতে গত ৫০ বছরে ৬.৪ হাজার মিলিয়ন টন বরফ হলে গিয়েছে। যার ফলে সমুদ্রের স্তর ১৭ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন- দিনের আলোয় ভীড় মেট্রো স্টেশনে যৌনতায় মত্ত যুগল, বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায়
অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ড-এ বিশ্ব উষ্ণায়ণের ফলে এই বছর রেকর্ড সংখ্যক তাপমাত্রা ছিল। শীতকালে কলকাতার তাপমাত্রার থেকেও বেশি ছিল সেখানকার তাপমাত্রা। আবহাওয়া ও জলবায়ুর এই দ্রুত পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের ধ্বংসের আশঙ্কা দেখছেন গবেষকরা। এই কারণে দ্বীপপুঞ্জ এবং উপকূলীয় শহরগুলির প্রায় ৪০ কোটি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে গবেষকরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড-এর প্রায় ৬০ শতাংশ বরফ এবং অ্যান্টার্কটিকার প্রায় ৪০ শতাংশ বরফ গলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। এর ফলে যে ভয়ানক পরিস্থিত সৃষ্টি হবে তার ফলেই বেশিরভাগ মানব সভ্যতার ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- করোনামুক্ত ভারতের গান একদল মহিলার, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির এরিক আইভিনস বরফ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা করেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, টেকনোলজির সহায়তায় এবং স্যাটেলাইটের সাহায্যে অধ্যয়নের ফলে এই সকল তথ্য সামনে এসেছে। যা রীতিমত হার হীম করার মত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীর জলের স্তর ৪ ফুট বৃদ্ধি পাবে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, "হিমবাহ যা দ্রুত হারে গলতে শুরু করেছে তাত ফলে সমুদ্রের জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। "২০১৫ সালের প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন যে ২৩০০ এর মধ্যে সমুদ্রের স্তর ৪ ফুট অবধি বৃদ্ধি পাবে। এটি সাংহাই থেকে লন্ডন-সহ ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ, মায়ানমার অবধি দেশগুলিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।"