বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ হেঁটেছে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পথে। এর মধ্যেই অবশ্য আশার খবর শুনিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবারই ব্রিটেনে হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনরে পরীক্ষা। সাফল্যের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ বলে আশাবাদী গবেষকরা। এর মধ্যেই আবার একদল বিজ্ঞানী মানুষকে আতঙ্কের খবর শোনাচ্ছেন। করোনার টিকা দ্রুত আবিষ্কার করা সম্ভবন না হলে সামাজিক দূরত্বরে বিষয়টি ২০২২ সাল পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন আমেরিকার হাভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বলতে জমায়েত করা বা কোথাও অনেক মানুষ একত্র হওয়া, এসব করা যাবেনা। না হলে করোনা ফের মাথাচাড়া দেবে। তাঁরা এমনও দাবি করেছেন, ক্রমে করোনা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লেও, আগামী শীতকালে ফের তা মাথা চাড়া দিতে পারে। ফলে সবদিক থেকে তৈরি থাকতে হবে।
পরীক্ষায় ব্যর্থ করোনা রুখতে প্রথম নির্মিত ওষুধ 'রেমডেসিভির', 'হু'-এর রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল
মহামারীতে তছনছ বিশ্ব, করোনাভাইরাস কী জানেনই নাকি এই বিশ্বভ্রমণে বেরোন দম্পতি
করোনা যুদ্ধে সামিল দেশের ফার্স্ট লেডিও, গরিবদের জন্য মাস্ক বানাচ্ছেন সবিতা কোবিন্দ
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃতের দিক থেকে এখন শীর্ষে রয়েছে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা ভাইরাস মোকাবিলায় সফল হতে চাইলে, আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘সামাজিক দূরত্বের’ যে বিধি নিষেধ রয়েছে তা মেনে চলতে হবে, এমনটাই মনে করছেন হাভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা।
জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত এই গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার ওষুধ বা কার্যকর টিকা না আসলে পারস্পরিক দূরত্বের যে বিধি-নিষেধ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে তা আরও দুই বছর মেনে চলতে হবে। প্রতিবেদনটিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষকরা এও দাবি করেছেন, বিধিনিষেধ না মানলে ২০২৪ সালে গিয়ে ফের এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বিশ্বে। তবে যদি টিকা আবিষ্কার করা না যায়, সেক্ষেত্রেই অবশ্য এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।