কিশোরের পায়ুছিদ্র দিয়ে বেরোচ্ছে একের পর এক ডিম - মানুষ না মুরগী, হতবাক চিকিৎসকরা

এক কিশোরের পায়ুছিদ্র দিয়ে বছরের পর বছর বের হচ্ছে  আস্ত আস্ত ডিম। ইন্দোনেশিয়ার এই কিশোর চিকিত্সকরা হতবাক করে দিয়েছে।

 

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2021 5:45 PM IST / Updated: Jul 15 2021, 06:22 PM IST

চিকিত্সকরা হতবাক। কথা নেই, বার্তা নেই, এক কিশোর এসে দাবি করছে সে নাকি ডিম 'পাড়ে'। মানে তার পায়ুছিদ্র দিয়ে বের হয় আস্ত আস্ত ডিম। ঘটনাটা ইন্দোনেশিয়ায়  দক্ষিণ সুলাওসি প্রদেশের গাওয়া এলাকার। সেখানকার শেখ ইউসুফ হাসপাতালে গিয়ে এমন দাবি করেছিল ১৪ বছরের আকমল। স্বাভাবিকভাবেই চিকিত্সকরা সেই কথা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু, তাঁদের অবাক করে দিয়ে আকমল সেখানে আরও দুটি ডিম 'পাড়ে'।

এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। সেই সময়ই প্রথম আকমলের এই অদ্ভূত বিষয়টির সম্পর্কে প্রথম জানাজানি হয়েছিল। সেই সময় তার বাবা ইমাম রুসলি জানিয়েছিলেন, তার দু বছর আগে থেকে আকমল ডিম 'পাড়তে' শুরু  করে। দুই বছরে তার পায়ু থেকে মোট ২০ টি ডিম বের হয়েছে, বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তারপর আরও ৩ বথর কেটে গিয়েছে। চিকিৎসকরা, গবেষকরা অনেক পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু, আকমলের 'ডিম পাড়া'র রহস্যের সমাধান করতে পারেননি। ১৭ বছর বয়সেও তার পায়ু থেকে মাঝে মাঝে ডিম বেরিয়ে আসছে। আর সে যে ডিমগুলি পাড়ে, সেগুলি ফাটালে ভিতরে হয় পুরোটাই কুসুম থাকে অথবা সাদা অংশটি থাকে, এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
 
চিকিত্সকরা সাফ জানিয়েছেন মানুষের শরীরে ডিম গঠন হওয়া অসম্ভব। বিশেষ করে পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে তো অসম্ভব। তাহলে কীকরে আকমলের মলদ্বার দিয়ে ডিম বের হচ্ছে? ডাক্তাররা দুটি  সন্দেহ করেছিলেন। প্রথমত তাদের অনুমান ছিল, আকমল আগে থেকে তার পায়ু বা মলদ্বার দিয়ে শরীরে ভিতর ডিমগুলি ঢোকায়। আর পরে সেগুলি পায়ু  দিয়ে বের করে ডিম পাড়ার দাবি করে। আর দ্বিতীয় অনুমান ছিল, সে আস্ত আস্ত খোলা সহ ডিম খেয়ে নেয়, সেগুলিই মলত্যাগের মতো পায়ু দিয়ে বের হয়ে আসে।

আরও পড়ুন - জানুয়ারি থেকে বারবার 'স্বপ্নে ধর্ষণ' করছে তান্ত্রিক, থানায় অভিযোগ জানালেন 'ধর্ষিতা'

আরও পড়ুন - ৩৭তম বিয়েতে অতিথি ২৮ জন স্ত্রী, ৩৫ জন পুত্র কন্যা এবং ১২৬ জন নাতি-নাতনী, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন - বাবা ১, মা ২৭ জন, ভাইবোন ১৫০ - ফাঁস হল বৃহত্তম বহুকামী পরিবারের কেচ্ছা, দেখুন ছবিতে ছবিতে

এই দুই তত্ত্ব পরীক্ষা করে দেখবার জন্য তারা আকমলকে একবার শেখ ইউসুফ হাসপাতালে এক সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইন করেছিলেন। কোনোওভাবেই তার কাছে যাতে ডিম না পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু ডাক্তাররা তাদের অনুমান প্রমাণ করতে পারেননি। হাতের কাছে হাস-মুরগীরর ডিম না পেয়েও হাসপাতালে থাকাকালীন ডিম পেড়েছিল আকমল।

তবে ডাক্তারদের এইসব অভিযোগ মানতে নারাজ আকমলের বাবা ইমাম রুসলি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি গ্রামের ইমাম, একমাত্র আল্লাকেই বিশ্বাস করেন। তাই তাঁর ছেলে কেন পায়ুর মধ্যে ডিম ঢোকাবে কিংবা আস্ত ডিম খেয়ে ফেলবে? ডাক্তাররা তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। ২০২০ সালের এক গবেষণা বলছে, আকমল যে ডিমগুলি পাড়ে সেগুলি আসলে মুরগির ডিম। তবে এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ তারা দিতে পারেনি। তাই আকমলডাক্তারদের কাছে এখনও এক বিস্ময় হয়ে রয়েছে।

Share this article
click me!