সংক্ষিপ্ত
এ এক অদ্ভূত অপরাধ
স্বপ্নে ধর্ষণ, তাও বার বার
পুলিশকে এমনই জানালেন নির্যাতিতা
অভিযুক্ত তান্ত্রিক কী বলছে
বিহারের আওরঙ্গাবাদ জেলায় এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে বিস্ময়কর অভিযোগ করলেন স্থানীয় এক মহিলা। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই তান্ত্রিক তাঁকা বারবার ধর্ষণ করেছেন, তবে সরাসরি নয় স্বপ্নে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে ওই তান্ত্রিককে। তবে তিনি ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গিয়েছে ওই মহিলা আওরঙ্গাবাদ জেলার গান্ধী ময়দান এলাকার বাসিন্দা। কুদওয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর পুত্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে তিনি স্থানীয় কালী বাড়ি মন্দিরের তান্ত্রিক প্রশান্ত চতুর্বেদীর কাছে গিয়েছিলেন। প্রশান্ত চতুর্বেদীর তাঁকে একটি মন্ত্র এবং একটি আচার অনুষ্ঠান শিখিয়ে দিয়েছিলেন, যা তিনি নিষ্ঠাভরে পালন করেছিলেন। কিন্তু সেই তন্ত্রমন্ত্রে কাজ হয়নি, ১৫ দিন পরই তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়।
ছেলের মৃত্যুর পর, মহিলা কালী বাড়ি মন্দিরে ফিরে গিয়েছিলেন। তন্ত্র মন্ত্র পালনের পরও তাঁর পুত্রের মৃত্যু কীভাবে হল, তান্ত্রিক চতুর্বেদীর কাছে তা তিনি স্পষ্ট করে জানতে চান। মহিলা দাবি করেছেন, এরপর মন্দির চত্ত্বরেই প্রশান্ত চতুর্বেদী তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার 'ছেলে' তাঁকে 'উদ্ধার' করেছিল। মহিলারা সেই সময় থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রশান্ত চতুর্বেদী তারপরও তাঁকে নিস্তার দেননি। তিনি নিয়মিত ওই মহিলার স্বপ্নে আসছেন এবং স্বপ্নলোকেই তাঁকে বারবার ধর্ষণ করছেন।
কুদওয়া থানার এসএইচও অঞ্জনী কুমার জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগ যতই অবাস্তব মনে হোক, তিনি লিখিত অভিযোগ জানানোয় তাঁরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছেন। প্রশান্ত চতুর্বেদীকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু প্রশান্ত চতুর্বেদীর দাবি, তিনি অভিযোগকারিনীকে 'স্বপ্নে ধর্ষণ' তো করেননিই, এমনকী তাঁকে চেনেনও না। কোনওদিন ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতই হয়নি। প্রশান্ত চতুর্বেদীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। তাই তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে পুলিশ।