'বন্ধুত্বপূর্ণ সংঘর্ষ' আর তাতেই ইরানে মৃত্যু ১৯ নাবিকের, উত্তেজনা উপসাগরীয় এলাকায়

উপসাগরীয় এলাকায় মহড়া ইরান বাহিনীর
মিসাইল উৎপেক্ষণ করতে গিয়ে বিপত্তি
নিহত ১৯ নাবিক
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ জন

Asianet News Bangla | Published : May 11, 2020 10:14 AM IST

সমুদ্র মহড়া চলছিল। যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে করতে সক্ষম এমনই একটি মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করার সময়ই ঘটে যায় চরম বিপর্যয়। যা প্রাণ নেয় ইরানেরও ১৯ নাবিকের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ জন।  রবিবার মহড়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। যাকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বন্ধুত্বপূর্ণ সংঘর্ষ বলেই উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনার জন্য মৃতনাবিকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও জানান হয়েছে। ওমানের কাছে উপয়াগরীয় এলাকায় মহড়ার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকায় মহড়া দেয় ইরানের সেনাবাহিনী। সেইমত রবিবারও সেনার মহড়া চলছিল।ফ্রিগেট জামারান  নামের একটি মিসাইল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছি। জাহাজ বিধ্বংশী এই মিসাইল পাশে অবস্থিতি কোনার্ক নামেই একটি পণ্যবাহী জাহাজে আঘাত করে। তাতেই এই দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে আরও বলা হয়েছে মহড়ার সময় কোনার্ক একটি লক্ষ্যবস্তু একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্য ফিরে আসতে পারেনি। ১৯৭৯ সালে কোনার্ক নামের এই পণ্যবাহী জাহাজটি কেনা হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে। জাস্ক বন্দরের কাছেই এই মহড়া চলছি। এই বন্দরটি তেরহানের থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

আরও পড়ুনঃ করোনাই কি হবে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু, তেমনই বার্তা ওবামার কণ্ঠে ...

আরও পড়ুনঃ 'শ্রমিক স্পেশাল'র জন্য নতুন গাইডলাইন রেলের, আজ বিকেল থেকেই অনলাইন বুকিং বিশেষ ট্রেনের ...

ইরানের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্ত কিছু স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের আলোচনা থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরানের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানান হয়েছে ১৫ জন আহতের চিকিৎসা চলছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক। তাঁদের দেহের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছে। তবে জামারান নামের ওই জাহাজে কতজন সদস্য ছিল তা এখনও স্পষ্ট করেনি স্থানীয় প্রশাসন।   পণ্যবাহী কোনার্ক জাহাজটি নেদারল্যান্ডের তৈরি। ১৯৭৯ সাল থেকে এটি ব্যবহার করে সেই জাহাজেও কতজন সদস্য ছিল তা বলা হয়নি। সংবেদনশীল উপসাগরীয় একায় এই ঘটনা যথেষ্ট স্পর্শকাতর বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ কারণ আগেই মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল এই এলাকায় যাতাযাত করা জাহাজগুলিকে প্রচণ্ড হয়রানি করে ইরান। কিন্তু এই অভিযোগের কোনও উত্তর দেয়নি ইরান। তবে সূত্রের খবর কোনার্ক ও জামারান দুটোই মহড়ার অঙ্গ ছিল। 

Share this article
click me!