করোনাভাইরাস রীতিমত মহামারির আকার নিয়েছে ইরানে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস ৬৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার পাঁচশো এক জন। করোনাভাইরাস নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলি রেজা আজিজ। তিনি বলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সবকরম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে মহিলাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বিপাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুবাইয়ের শেফ
করোনাভাইসারের সংক্রমণ এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে সরকারের পদস্থ আধিকারিকরাও রয়েছেন সেই তালিকায়। সাত জন সরকারি আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন। এক অধিকার্তার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ইরানের গুরুপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুমেহে এবেটেকর। যদিও বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
গত মাসের ১৯ তারিখে ইরানে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তারপর মাত্র পনেরো দিনের মধ্যেই মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৬৬তে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই ইরাক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, কুয়েত সহ একাধিক প্রতিবেশী থেকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উল্টে প্রতিবেশী রাষ্ট্র গুলিও ইরান থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। ইরানে করোনার প্রকোপ এতটাই মারাত্মক যে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান থেকে ফেরা তীর্থযাত্রীদেরও বিশেষভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দলজিতের সঙ্গে তাজ দর্শন থেকে সাইকেলে চড়ে ভ্রমণ, ভারতীয়দের সৃজনশীলতায় মুগ্ধ ইভাঙ্কা
এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কোনও ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন। কিন্তু তার মধ্যেই করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে পৃথিবীর ৫৮টি দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০হাজার। শুধুমাত্র চীনেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন হাজার মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব দেশ গুলিকেই সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।