ইয়েজিদি মহিলাকে বেশ কিছুদিন আইসিস জঙ্গিরা আটকে রেখেছিল। মহিলা জানিয়েছেন তিনি টানা তিন দিন অভুক্ত ছিলেন। তাঁকে খাবার দেওয়া হয়নি।
আইসিস জঙ্গিদের নৃশংস অত্যাচারের অনেক ঘটনা আগেই সামনে এসেছে। এবার হয়তো সেগুলিকেও ছাপিয়ে গেল এই ঘটনা। যা শুনলে আপনার রাগ, দঃখতো হবেই। সেই সঙ্গে জেহাদির নামে আইসিসদের কার্যকলাপকেও আপনি ঘৃনা করতে বাধ্য হবেন। সম্প্রতি এক মহিলা দাবি করেছেন আইসিস জঙ্গিরা তাদের হেফাজতে থাকা এক যৌন দাসীকে শুধু শারীরিক অত্যাচারই করেই ছেড়ে দেয়নি। তাঁকে এমন মানসিক নির্যাতন করেছেন যার ক্ষত সেই মহিলাকে সারা জীবন ধরে বয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ইরাকি রাজনীতিবিদ স্থানীয় একটি চ্যালেনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি পুরো ঘটনার কথা তুলে ধলেও নির্যাতিতা মহিলার নাম প্রকাশ করেননি। তিনি শুধু বলেছেন আইসিস জঙ্গিরা এক ইয়েজিদি মহিলা যাঁকে তাঁরা যৌনদাসী হিসেবে রেখেছিল সেই মহিলাকে তার এক বছরের সন্তানের রান্না করা মাংস খেতে বাধ্য করেছিল।
সেই ইয়েজিদি মহিলাকে বেশ কিছুদিন আইসিস জঙ্গিরা আটকে রেখেছিল। মহিলা জানিয়েছেন তিনি টানা তিন দিন অভুক্ত ছিলেন। তাঁকে খাবার দেওয়া হয়নি। জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। তারপর তাঁকে মাংসা আর ভাত একটি প্লেটে করে দেওয়া হয়। তিনি এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলেন যে সেই ভাত আর মাংস চটজলদি খেয়ে ফেলেন। তারপরই আইসিসরা ইয়েজিদি মহিলাকে জানায় তার এক বছরের ছেলেতে তারা হ্যতা করেছে। আর ওই মাংস তার এক বছরের ছেলের যা মহিলা এইমাত্র খেয়েছেন।
আইসিসরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এমনই অত্যাচার চালায়য আইসিসদের বিশ্বাস ছিল মহিলা অন্য ধর্মের, তাই সে শয়তানের উপাসক। তাই ইয়েজিদি মহিলার ওপর এমন নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল।
ইরাকের এক মহিলা সাংসদ জানিয়েছেন আইসিসদের খপ্পর থেকে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এই মহিলাও ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁরা একটি ১০ বছরের শিশুকে উদ্ধার করেছে যাকে তার বাবা ও পাঁচ বোনের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছিল।